নোয়াখালীর পাতা ডেস্ক:
নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার মুল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হরনী ইউনিয়নের ৬টি রাস্তা ও শতাধিক গাছ কেটে দিয়েছে রামগতির কথিত সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকেরা। এ সময় তারা জনগনের মাঝে আতংক ছড়াতে কয়েকশ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। ফলে হরনী ইউনিয়নের সাথে রামগতি ও সুবর্ণচর উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ।
স্থানীয়রা জানায়, হাতিয়া উপজেলার হরনী ইউনিয়নের বয়ারচর এলাকাটিকে রামগতি উপজেলার আওতাভুক্ত দাবী করে রামগতি চরগাজি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম সুমনের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা বয়ারচর এলাকায় ঢুকে কয়েকশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে। পরে ডাকাত সোলেমান কমান্ডার ও ফরিদ কমান্ডারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা শতাধিক গাছকেটে রাস্তায় ফেলে রাখে। এসময় সন্ত্রাসীরা রামগতি উপজেলা ও সুবর্ণচর উপজেলার সাথে সংযুক্ত হাতিয়া সীমানার ৬ টি কাঁচা ও পাকা রাস্তা কেটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আতংকে স্থানীয় কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যত্রুম বন্ধ হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, রামগতির কথিত সন্ত্রাসীরা বয়ারচর মোর্শেদ বাজার পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে কয়েকজন পুলিশকে আহত করে এবং আব্দুররব ডাকাত নামীয় একজন আসামীকে চিনিয়ে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় সোলেমান কমান্ডার, ফরিদ কমান্ডার সহ দু’শতাধিক লোককে আসামী করে মামলা দায়ের করা হলে ও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এব্যাপারে হাতিয়া থানার ওসি জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নোয়াখালীর পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনগন যাতে হরনী ইউনিয়নের যেতে না পারে এজন্য রামগতির চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা রাস্তা কেটে রেখেছে। বিষয়টি উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।