ছবি: ইন্টারনেট

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। তবে আগামী তিন দিন দু’এক জায়গা ছাড়া সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানা গেছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিন ছয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ হাজার ৭শ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এদিকে, ৪টি সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত বলবৎ আছে।

আবহাওয়া অফিস থেকে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেদ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দীন বলেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর অবস্থান থাকলেও দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, রাজশাহীতে রবিবার (২৮ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে চট্টগ্রামে উত্তাপ সবচেয়ে কম। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.২, রংপুরে ৩০.৯, মংমনসিংহে ৩৪.৭, সিলেটে ৩৩.৯, খুলনায় ৩৮.৭ ও বরিশালে ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে কক্সবাজারে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এ কারণে ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে লাল এবং হলুদ রংয়ের পতাকা দিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সকালে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেয়া হয়নি। তবে বেলা বাড়লে দুপুরের দিকে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে। সেক্ষেত্রে হাঁটু পরিমাণ পানিতে নামার শর্তে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেয়া হয়। তাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় লাইফগার্ড কর্মীরা নিয়োজিত রয়েছেন।