23718-1

নিজস্ব প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কোঠরা মহব্বতপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনর জের ধরে অস্ত্রধারীরা প্রবাসী সৈয়দ আলী পন্ডিত বাড়ি সহ ৫ বাড়ি ও ৫টি দোকানে হামলা করছে।

এ সময় তাদেরকে লোকজন বাধা দিলে গেলে এলোপাতাড়ি ১৫-২০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে ৩০-৩৫ টি ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছরিয়ে পড়ে এলকায়। এ সময় ৩ জন গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছে ১০ জন।

এক সময় আবুতালেব (৩২) কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপার্স করে।

সোমবার বেলা ৩টায় একই ইউনিয়নের চাঁদ কাশিমপুর গ্রামের সন্ত্রাসী আবু তালেব, দেলোয়ারের ছেলে শিশু রাসেল, সোলেমানের ছেলে ইয়াবা বাবু, শাহজালালের ছেলে রাসেল, কালামুন্সির ছেলে মাসুদ, অপর ইসমাইল সহ ২৫-৩০ জন অস্ত্রধারীরা হামলা চালিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।

চাঁদ কাশিমপুর মিজি বাড়ির দরজায় নিম্মমানের কালভার্ট নির্মাণে আহতরা বাধা দিতে গেলে অস্ত্রধারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটায়। আহতদের মধ্যে হোসেনে আরা বেগমগ (৫০), হালিমা বেগম (৬২), নুর নাহার (৫৩), রুনা আক্তার (২৩০, সোহেল (২৫), কাউছার (১৯) ও আব্দুর রহিম (৩৮) সহ আহতদের চৌমুহনী বাণিজ্য কেন্দ্রে বিভিন্ন কিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ওই গ্রামের চাঁদ কাশিমপুর মিজি বাড়ির দরজা প্রাঙ্গণে স্থানীয় মেম্বার গত রোববার থেকে নিম্মমানে সামগ্রী ব্যবহার করে কালভার্ট নির্মাণ করছে। ওই কালভার্ট কার্যাদেশ বর্হিভূত সামগ্রী ব্যবহার করায় মেম্বারকে এলাকাবাসী বাধা দেয়। বাধা দেয়। এতে ওই মেম্বার তার ভাড়াটিয়া অস্ত্রধারীদেরকে এনে প্রবাসী সৈয়দ আলী পন্ডিত বাড়ি, দুলা মিয়া সেরাং, আব্দুর রহিম ভূঁইয়া, খোরশেদ ভূঁইয়া বাড়ি, সোহেল, রহিম, দুঃখুর মুদি ও চা দোকানের ব্যবসায়ী সহ ৫টি বাড়ি ও অপর ৫ দোকানে হামলা চালায়।

বাসিন্দারা তাদেরকে বাধা দিতে গেলে এলোপাতাড়ি অস্ত্রধারীরা ১৫-২০ রাউন্ড গুলি, ৩০-৩৫টি ককটেল বিস্ফোরণ করে ভাংচুর ও আহত করছে ১০ জন। স্থানীয়রা আবু তালেবকে গণ ধোলাই দিয়ে আটক করে থানায় সংবাদ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার টের পেয়ে অপর অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়।

এদিকে বেগমগঞ্জ থানার ওসি গোলাম ফারুক জানান, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ওই গ্রামে সন্ত্রাসীরা ৫ বাড়িতে ও দোকানে হামলা করে ১০-১২টি ককটেল বিস্ফোরণ করে। আবু তালেব নামের একজনকে আটক করলে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিজস্ব প্রতিনিধি/নোয়াখালীর পাতা ডেস্ক/২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬