খোলা কলাম | তারিখঃ February 26th, 2016 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 489 বার

শুক্রবার মুসলিম উম্মাহর সাপ্তাহিক উৎসবের দিন। এই দিনকে ‘ইয়াওমুল জুমা’ বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও গোটা জগৎকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। এই ছয় দিনের শেষ দিন ছিল জুমার দিন।
এই দিনেই হজরত আদম (আ.) সৃজিত হন। এ দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এ দিনেই জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নামানো হয়। কেয়ামত এ দিনেই সংঘটিত হবে। আল্লাহ তায়ালা প্রতি সপ্তাহে মানবজাতির সমাবেশ ও ঈদের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু পূর্ববর্তী উম্মতরা তা পালন করতে ব্যর্থ হয়।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন।
যিনি সবার আগে আসেন তিনি ওই ব্যক্তির ন্যায় যিনি একটি মোটাতাজা উট কুরবানি করেন। এরপর যিনি আসেন তিনি ওই ব্যক্তির ন্যায় যিনি একটি গাভী কুরবানি করেন।
এরপর যিনি আসেন তিনি ওই ব্যক্তির ন্যায় যিনি একটি দুম্বা কুরবানি করেন। তারপর আগমনকারী ব্যক্তি মুরগি দানকারীর ন্যায়। এরপর আগমনকারী ব্যক্তি ডিম দানকারীর ন্যায়।
তারপর ইমাম যখন (খুৎবার প্রদানের জন্য) বের হন তখন ফিরিশিতা তাদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ সহকারে খুৎবা শুনতে থাকেন। [বুখারি শরিফ হাদিস নং-৮৮২]
রাসুল (সা.) বলেন, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তা-ই তাকে দেওয়া হয়। আর এ সময়টি হল জুমার দিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, একটি সময়। [বুখারি ৯৩৫]
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে গোসল করে জুমার উদ্দেশ্যে আসে এবং যে পরিমাণ নফল নামাজ পড়ার তাওফীক হয় তা পড়ে, এরপর ইমামের খুতবা শেষ হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকে এবং ইমামের সঙ্গে নামাজ আদায় করে, আল্লাহ তা’আলা তার দশ দিনের (সগিরা) গুনাহ মাফ করে দেন।’ [সহীহ মুসলিম, ১/২৮৩]
জুমার দিন মুহাম্মদ (সা.) এর উম্মত এর জন্য একটি মহান দিন। এ জুমার দিনটিকে সম্মান করার জন্য ইহুদি-নাসারাদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ করে এই দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অতঃপর ইহুদিরা শনিবারকে আর খ্রিস্টানরা রবিবারকে তাদের ইবাদতের দিন বানিয়েছিল। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ (সা.) এর উম্মতের জন্য শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফযীজিতের দিন হিসেবে দান করেছেন। আর উম্মতে মুহাম্মদী তা গ্রহণ করে নিল। [বুখারী ৮৭৬; মুসলিম ৮৫৫]
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম প্রত্যেক জুমার দিনে নিজের গোঁফ ছোট করেতেন এবং আঙুলের নখ কাটতেন। {আখলাকুন নবী [সা], হাদিস নং-৭৭০}
আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহ্ফ পড়বে তার জন্য এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত আলো বিচ্ছুরিত হবে। [মুসতাদারেক হাকিম ২/৩৯৯, বায়হাকি ৩/২৪৯, ফয়জুল কাদির ৬/১৯৮]
হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে তার পা থেকে আকাশের উচ্চতা পর্যন্ত নূর হয়ে যাবে, যা কেয়ামতের দিন আলো দেবে এবং বিগত জুমা থেকে এ জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। [আত তারগিব ওয়া তারহিব ১/২৯৮]
আবু দারদা (রা.) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সুরায়ে কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফেৎনা হতে রক্ষা পাবে। [সহিহ মুসলিম, হাদিস ১৩৪২, মুসনাদু আহমদ, হাদিস ২০৭২০, আবু দাউদ, হাদিস- ৩৭৬৫]
হজরত ইয়াজিদ ইবনে আবি মারয়াম (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন পায়ে হেঁটে জুমার জন্য যাচ্ছিলাম। এমন সময় আমার সাথে আবায়া ইবনে রিফায়া (রা.) এর সাথে সাক্ষাৎ হয়। তিনি বললেন, সুসংবাদ গ্রহণ করো! তোমার এই পদচারণা আল্লাহর পথেই। আমি আবু আবস (রা) কে বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তির পদদ্বয় আল্লাহর পথে ধূলিময় হলো, তার পদদ্বয় জাহান্নামের জন্য হারাম করা হলো। [জামে তিরমিজি, হাদিস নং- ১৬৩৮, সহীহ বুখারি, হাদিস নং- ৯০৭]
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- কাজী অফিস নোয়াখালী চৌমুহনী
- চাটখিলের শাহাপুরে আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
- বন্ধু জুতা সেলাই করছেন, পাশে বসে গল্প করছেন মাশরাফি
- গতকাল থেকে খালেদা জিয়ার জ্বর
- জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন সমন্বয়ে প্রকাশ্যে পানের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান !
- নোয়াখালীতে মহিলা বিষয়ক দপ্তরে জাতীয় পতাকা না করায় তদপ্ত সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার করার অনুরোধ
- নোয়াখালীতে পূজামন্ডপ পরিদর্শন ও অনুদান প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী
- ব্র্যাক এর সহযোগীতায় নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
- মেডিকেল সেন্টার উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু, ভবিষ্যতে এটি নোবিপ্রবির আধুনিক হেলথ রিচার্স সেন্টারে উপনিত হবে – প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন
- বিআরটিএ নির্দেশনায় সুশৃঙ্খলভাবে পথ চলার আহবান করেন: জেলা প্রশাসক ও প্রকৌশলীগন
Leave a Reply