12662668_1662914177305026_5934963196485953782_n

নোয়াখালীর পাতা ডেস্ক: নোয়াখালীর আলোকিত সন্তানদের সাথে নোয়াখালীবাসীকে একে একে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আজ বলব খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম এর ব্যাপারে।

গত বছরের কথা। সৌদি আরবের কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং’র অধীনে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ফর রিসার্চ ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ইন ম্যাটারিয়ালস-এ “শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক-২০১৫” পদক লাভ করেন আমাদের নোয়াখালীরই কৃতি সন্তান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

গত বছর কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি’স অ্যাওয়ার্ড ফর সায়েন্টিফিক এক্সিলেন্স-২০১৫ এর মোট ৭টি গ্যাটাগরিতে ১৫ জনকে তাদের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এ পদক দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সৌদি প্রবাসী রেজাউল করিম ‘ইনভেনশন, ইনভেনশন অ্যান্ড টেকনোলজি লাইসেন্সিং প্রাইজ ক্যাটাগরিতে তৃতীয় স্থান লাভকারী হিসেবে এ পদক পান।

নির্বাচিত ১৫ জন বিজ্ঞানীর হাতে পদক তুলে দেন রিয়াদের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ।

রেজাউল করিম ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পরানপুর গ্রামের ‘মিসাব বাড়ির’ এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

দাদা মরহুম মৌলভী আহমেদ উল্লাহ নদীয়া হাইস্কুলের আরবি শিক্ষক এবং বাবা মরহুম মোশারেফ হোসেন ভূঁইয়া বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ডের সাব স্টেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ড. রেজাউল করিম স্কুল জীবন প্রথমে চাটখিল পরানপুর প্রাইমারি স্কুলে, পরে বেগমগঞ্জের থানারহাট হাইস্কুল এ পড়াশুনা করেন। প্রতিটি ক্লাসেই প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। অষ্টম শ্রেণিতে মেধা তালিকায় সরকারি বৃত্তি পান রেজাউল।

কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাসের পর আদমজি ক্যান্টনমেন্ট কলেজ (ঢাকা) থেকে এইচএসসি শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিষয়ে ভর্তি হন। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি বিএসসি (সন্মান) ১৯৯৯ সালে এবং ২০০১ সালে এমএসসি (থেসিস) পাস করেন।

২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি স্কলারশিপ নিয়ে কায়ুংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ভৌত রসায়ন (বিশেষভাবে ন্যানো টেকনোলজি) এর ওপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

২০০৮ সালে পাকইয়াং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ইমাজিন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ শেষ করেন।

২০০৯ সালে তিনি দ্বিতীয় দফায় কায়ুংপ‍ুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে উন্নত জৈব পদার্থ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে কনডাকটিং পলিমার অ্যান্ড কার্বন ন্যনোটিউব বেজড ন্যনোপার্টিক্যালস ফ্যাবরিকেশন অ্যান্ড ক্যারেক্টারাইজেশন’র ওপর দ্বিতীয় পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ সম্পন্ন করেন।

২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে এখন পর্যন্ত তিনি কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিযুক্ত রয়েছেন।

ড. রেজাউল করিম মালয়েশিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রভাষক এবং কানাডার কুইবেক বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।

আমরা তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

নোয়াখালীর পাতা ডেস্ক/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬