১

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

স্থানীয় প্রশাসন,চৌমুহনী পৌর কর্তৃপক্ষ, চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী নেত্ববৃন্দ,পরিবহন মালিক শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগীতার অভাবে চৌমুহনী বাজারের যানজট দুরীকরন সম্ভব হচ্ছে না।

 

চৌমুহনী বাজার এলাকায় বাস-টেক্সি-রিক্সা ষ্ট্যান্ড না থাকায় রাস্তায় দাঁড়ানো থাকে সকল প্রকার যান বাহন। পৌরসভার ইজাড়া দেয়া তরকারী বাজার মাছ, মাছ বাজার নির্ধারিত বাজারে না বসে প্রধান সড়কে বসলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কঠোর কোন পদক্ষেপ নেয় না। নানা ধরনের হকারসহ অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা রাস্তায় বসার কারনে যানজট লেগেই থাকে। ফোরলেন রাস্তায় একেক পাশে ২৪ ফুট করে রাস্তা প্রসস্থ করা হয়েছে।

কিন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা না পেয়ে ট্রাপিকরা রাস্তার যানজট নিরসনে সফল হতে পারছে না। আবার কয়েকজন দোকান ঘর মালিক অর্থ ও ক্ষমতার প্রভাবে রাস্তার জন্য সামান্য জায়গা ছেড়ে না দেয়ায় ডিবি রোড এলাকায় ফোর লেন কাজও শেষ করা যায়নি।

 

NK-266-1024x614

বিগত সময়ে চৌমুহনী প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে অনেকবার সভা- সমাবেশ , সেমিনার করে এবং পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা , প্রশাসন ও পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুই কার্যকর করেনি। এমনকি চৌমুহনী পৌর টার্মিনালের জন্য জায়গা বরাদ্ধ নিয়ে পৌরসভা মার্কেট করে ভাড়া দিয়েছে।

গত এক বছর আগে সেখানের খালি জায়গা সরজমিন পরিদর্শন করে বাস ও ট্যাক্সি দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে তাও কার্যকর করেনি। বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে রাস্তায় দাঁড়ানো সিএনজি আটো রিক্সাগুলো পোষ্ট অফিস রোড দিয়ে ঢুকে ষ্টেশন রোড দিয়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধাটাও কার্যকর হয়নি।

এ বিষয়ে আলাপ কালে ট্রাপিক সার্জেন্ট জয়দেব নারায়ন বলেন, পৌরসভা বা উপজেলা প্রশাসন যে ব্যবস্থা চালু করবে সেটি ধরে রাখতে পুলিশ চেষ্টা করবে। কিন্ত কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তই করেছে, কার্যকর কিছু করেনি।

বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম রেজাউর রহমান বলেন, যে কোন সিদ্ধান্ত তাৎক্ষনিক কার্যকর করা না হলে পরে তা কার্যকর করতে সমস্যা হয়। ফোরলেন রাস্তায় দাাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি বা রাস্তায় বসা দোকান সরানোর জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় এবং সেটি অব্যহত থাকবে। তবে এর স্থায়ী সমাধানে পৌর কর্তৃপক্ষসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ গন্যমান্যজনরা এগিয়ে আসতে হবে।

চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র আকতার হোসেন ফয়সল বলেন, যানজট দুরী করনের জন্য ফোরলেন নির্মান একটি বড় কাজ,যা সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া প্রধান সড়কের আশ-পাশ ইজাড়া দেয়া হয়নি। রাস্তায় বসা দোকান পুলিশ

সরিয়ে দেয়া উচিৎ। সম্বিলিতভাবে যে সব সিদ্ধান্ত হয়েছে তা কার্যকর না হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে। পৌরসভা এ বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করেনি, করবেও না।

নিজস্ব প্রতিনিধি/নোয়াখালীর পাতা ডেস্ক/ জিকেআরটি/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬