photo-papuya-gp-school

বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া:

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হওয়ায় চট্রগ্রাম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে সোনাইমুড়ীর পাপুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। শ্রেণি ভিত্তিক ও সামগ্রিক মা সমাবেশ, মিড ডে মিল, শ্রেণি শিক্ষক তার শ্রেণির অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের বাড়ীতে গিয়ে অভিভাবকদের সাথে বিশেষ সাক্ষাত, আকর্ষণীয় উপকরণের মাধ্যমে পাঠদান, অভিভাবকদের সচেতনতায় শিক্ষক ও এস.এম.সির সহযোগীতায় পাড়ায় পাড়ায় উঠান বৈঠক, ডিজিটাল এটেন্ডেনস্, নিয়মিত বার্ষিক ক্রীড়া আয়োজন, শিক্ষা সপ্তাহ পালন, মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠদান, আন্তঃক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার আয়োজন, বিভিন্ন জাতীয় দিবস যেমন ২১ ফেব্র“য়ারি, ১৬ ডিসেম্বর, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ আগস্ট উদযাপনসহ শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে স¤পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে ঝরে পড়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হওয়ায় গত ০৮/০৮/২০১৬ নোয়াখালী জেলায়, গত ২০/০৯/২০১৬ চট্রগ্রাম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে উল্লেখিত পাপুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী মোঃ আনোয়ার হোসেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার রওশন ফেরদৌস এর নিয়মিত পরিদর্শন, তত্ত্বাবধান, এস.এম.সি ও শিক্ষকদের আন্তরিকতাই এই ফলাফলে পৌছতে পেরেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইলিয়াছ।

৮ জন শিক্ষকের নিরলস দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণিতে ৩১৮ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়মিত স্কুলে এসে শিক্ষা নিচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরেই এই স্কুলের একাধিক ছাত্র-ছাত্রী সরকারী বেসরকারী বৃত্তি পেয়েছে। প্রাক প্রাথমিকের শিশুদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ ও আন্তরিক ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে কেউই এখন আর স্কুলে অনুপস্থিত থাকেনা। বিগত ০৪/১০/২০১৬ ইং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রশাসন-২ এর সহকারী পরিচালক মোঃ সানা উল্যা স্কুলটি পরিদর্শনে এসে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে জাতীয় পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ হওয়ার আশা করছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গাজী মোঃ আনোয়ার হোসেন ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রওশন ফেরদৌস। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হওয়ার পিছনে প্রধান শিক্ষক মোঃ ইলিয়াছের ভুমিকা রয়েছে বলে অভিভাবকরা জানান। জিকেআরটি/নোয়াখালীর পাতা ডেস্ক/০৯ অক্টোবর ২০১৬