noakhali-puja-pic-01-10-16-01

নিজস্ব প্রতিনিধি:
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে এ বছর নোয়াখালীর ১৫৮ টি পূজাম-পে পূজা উদ্যাপিত হবে। পূজাম-পগুলির প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। বেশিরভাগ মন্ডপে প্রতিমা তৈরির মূল কাজ শেষে চলছে রং তুলির কাজ।

পাশাপাশি স্টেজ সাজানো, লাইটিংসহ আনুসাঙ্গিক কাজও চলছে। আগামি ২/৩ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে ম-পগুলো। অপরদিকে নির্বিঘেœ উদ্যাপনের জন্য ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের সাথে মিটিং, পূজা উদযাপন কমিটি গঠন, বলন্টিয়ার তৈরিসহ প্রয়োজনীয় কাজও সম্পন্ন হয়েছে।

সূত্র জানায়, এ বছর জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ১৫৮ টি ম-পে প্রতিমা পূজা ও ঘট পূজা উদ্যাপিত হবে। তারমধ্যে কবিরাহাট উপজেলার ১৬ টি, কোম্পানীগঞ্জের ১৩ টি, চাটখিলের ০৯ টি, সদরের ১৯ টি, সূবর্ণচরের ২৯ টি, হাতিয়ার ৩১ টি, সোনাইমুড়ির ১১ টি, সেনবাগের ০৪ টি ঘট পূজাসহ ১২ টি, বেগমগঞ্জের ০৫ টি ঘটপূজাসহ ১৮ টি ম-পে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপিত হবে।

মাইজদী বাজার রামচন্দ্র মন্দিরের প্রধান প্রতিমা কারিগর কার্তিক পাল জানান, প্রতিমা তৈরি মূল কাজ শেষ। এখন রঙের কাজ বাকি, যা এক-দুইদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

নোয়াখালী জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সেক্রেটারি কিশোর চন্দ্র শীল জানান, বিভিন্ন ম-পে প্রতিমা তৈরি কাজ শেষে রং তুলির কাজসহ টুকিটাকি কাজ চলছে যা আগামি ২/৩ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তাছাড়া পূজা উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের সাথে আমাদের মিটিং শেষ হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সবার মধ্যে জঙ্গীবাদের একটা আতঙ্ক রয়েছে তার সাথে যুক্ত হয়েছে পাক-ভারত উত্তেজনা। তাই বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াছ শরীফ জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘেœ পূজা উদ্যাপন করতে পারে সে জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হবে। প্রত্যেক পূজাম-পে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনরাসের পাশাপাশি পুলিশের মোবাইল টিম ও ভিজিলেন্স টিম কাজ করবে। ইতোমধ্যে পূজা উদ্যাপন কমিটিগুলোর সাথে মিটিং-এ আমরা এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছি।

জিকেআরটি/নোয়াখালীর পাতা ডেস্ক/০২ অক্টোবর ২০১৬