child156120140124063705

নিজস্ব প্রতিনিধি
১৯ ফেব্রুয়ারি ৬৯ এর আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন ছিল স্বাধীনতার সূচনা পর্ব। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪ যুগ পেরিয়ে গেলেও সেনবাগের চার শহীদ আর আহত সংগ্রামীদের কথা ইতিহাসের পাতায় আজও উঠে আসেনি।

তারা পায়নি কোন রাষ্টীয় স্বীকৃতি। চিহ্ন মাএ নেই কোন কোন শহীদ সমাধির। দু:খে কাটছে তাদের পরিবার। আজও ছেলের জন্য অশ্র“ ঝরে শহীদ জননীর

৬৯ এর ফেব্র“য়ারী মাস আইয়ুব বিরোধী আন্দেলনে সেনবাগ তখন উওাল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী নোয়াখালীর সšা—ন সার্জেন্ট জহুরুল হক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহাকে হত্যার প্রতিবাদে ফুসে ওঠে সেনবাগের মানুষ।

১৯ ফেব্র“য়ারী ছাএ সংগ্রাম কমিটির ঘোষনা অনুযায়ী ছাএ জনতা রাস্তয় নেমে আসে। তারা থানায় কালো পতাকা উওোলনের দাবিতে থানা ঘেরাও করে।

যার এক পর্যায়ে পুলিশ এলোপাথাড়ি গুলি চালালে ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে চার জন নিহত হয়।্্ঐ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয় আরও ২০Ñ২৫ জন।

নিহত যুবক ৪ জন হলেন অর্জুনতলা গ্রামের অফিজের রহমান,বাবুপুর গ্রামের আবুল কালাম,জিরুয়া গ্রামের সামছুল হক ও মোহাম্মদপুর গ্রামের খুরশিদ আলম।

এ ঘটনা সম্পর্কে ৬৯ এর গন আন্দোলনের  সৈনিক আবু তাহের বলেন এ ঘটনায় নিহত চার জনের একজন ছিলেন বাজারের ব্যবসায়ী অফিজ।

থানার পাশে অর্জুনতলা গ্রামে তার বাড়ি।হঠাৎ মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবার চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।

বলছিলেন অফিজ উদ্দিনের ছোট ভাই চা দোকানদার মমিন উল্যাহ বর্তমানে শহীদদের কবরগুলোকে নিশ্চিহ্নের হাত থেকে রক্ষা এবং পরিবার গুলোকে পুনর্বাসনের দাবী শহীদ পরিবারের।

স্বাধীনতার এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও ৬৯ এর গন আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষনের সরকারি কোন উদ্যোগ চোখে না পড়লেও  ভবিষ্যতে ঘটনাস্থলে শহীদদের স্মরনে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মানের পরিকল্পনা করবে সেনবাগ উপজেলা প্রশাসন বললেন সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু: আনোয়ার পাশা।

৬৯ এর গন অভ্যুত্থান আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাসের আরেক অধ্যায়।

এ আন্দেলনের হাত ধরেই মুক্তির পথ প্রশস্ত হয় বাঙ্গালীর।কিন্তু ইতিহাসের পাতায় ঠাই পায়নি সেনবাগের চার শহীদের ঘটনা। সেনবাগবাসীর দাবী স্মৃতিচারন আর নয় চার শহীদকে দিতে হবে রাষ্টীয় স্বীকৃতি।

নোয়াখালীর পাতা ডেস্ক/নিজস্ব প্রতিনিধি/জিকেআরটি/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬