03
নিজস্ব প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের তফদার বাড়িতে তান্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসী রিপন বাহিনীর ক্যাডাররা। এ সময় তারা দোকানপাট ও বাড়ি-ঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। তাদের বাধা দেওয়ায় তারা পিটিয়ে ও কুপিয়ে নারি, পুরুষ সহ ১৫ জনকে আহত করে।

রোববার সকালে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকালে ওই এলাকার ফারুক নামের এক যুবককে অপহরণ করতে যায় পাশ্ববর্তি বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের খেজুর তলার একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী। এ সময় জব্বারের মেম্বারের নেতৃত্বে এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া করে ১টি মোটর সাইকেল সহ ৫ সন্ত্রাসীকে আটক করে। পরে আটক ৫ জনকে ছেড়ে দিলেও তাদের মোটর সাইকেলটি থানায় দেওয়া হয়।

02

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার সন্ধায় ওই এলাকার দিন ইসলাম খোকার পুত্র সন্ত্রাসী রিপন বাহিনীর ক্যাডাররা জব্বার মেম্বারের দোকানঘর ও বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট করে।

তারা দোকানও ঘর থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা, দুইটি স্বর্নের চেইন, একটি আটফোন সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মামালাম লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় শশুর বাড়িতে বেড়াতে আসা মেয়ের জামাই ইয়াছিনের ভিসালাগানো পাসপোর্টও সন্ত্রাসীরা নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের তান্ডব চলার সময় বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে অন্তত ১৫ জনকে আহত করে। এরমধ্যে গুরুতর আহত জব্বার মেম্বারের পুত্র আলা উদ্দিন(২৫), সাহাব উদ্দিন(২৮), নাতি রাহিম(১৬), রাফি(১৮), আত্মীয় মমিন উল্যাহ(৪৮), রাকের উল্যাহ(৪০), নজরুল ইসলাম(২০), আলেয়া বেগম(৫০), ঝর্না আক্তার(৩২)কে স্থানীয় পাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সন্ত্রাসী হামলার সময় সোনাইমুড়ী থানা পুলিশকে জানানো হলেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।

সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জব্বার মেম্বার সাংবাদিকদের জানান, সন্ত্রসাীদের ভয়ে আমার চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলার সাহস পায়না। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।