noakhali-news-10-09-2016-1

নিজস্ব প্রতিনিধি:
নোয়াখালী: কামারশালার টুং-টাং শব্দে মুখরিত পুরো কামার পল্লী। চলছে শেষ মুহুর্তের ব্যস্ততা। পুরনো সরঞ্জাম ধারালো করতে কিংবা নতুন কোনো সরঞ্জাম কিনতে যেমন ভিড় জমাচ্ছে সাধারণ মানুষ। উন্নতমানের সব সরঞ্জাম বিক্রি ও অর্ডার মোতাবেক তৈরি করছেন তারা। কেউ কেউ আসছেন পুরনো সরঞ্জামগুলো ধারালো করতে। কয়েকশ’ কামার পরিবার এ সময়টার জন্যই যেন দিন গুনেছিল।

আর মাত্র তিনদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে নোয়াখালীতে কামারশালার ব্যস্ত সময় কাটছে। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দম ফেলানোর ফুসরত থাকছে না তাদের। বছরের এ সময় দিনরাত কোরবানির পশুর জবাই ও কাটার বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি ও সান দিতেই দেখা যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের বিখ্যাত কামার পল্লী দত্তবাড়ী, দত্তেরহাট, চৌমুহনীর গোলাবাড়ী, রাজগঞ্জ, ছয়নী, সোনাইমুড়ি, সোনাপুর বাজারসহ শহরের প্রায় প্রতিটি কামার শালায় কামাররা বিরতিহীনভাবে কাজ করছেন।

noakhali-news-10-09-2016-2

শহর ছাড়াও গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কামারদের কাজের কমতি নেই। ঈদ উপলক্ষ্যে মুসলমানরা কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য দামা, দা, বটিসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী লোনা পানিতে সান দেয়া এবং নতুন কিছু কেনা নিয়ে ব্যস্ত। সে লক্ষে কামাররা ও কোরবানির ঈদ এলে সারা বছরের পুরো অর্থ পুষিয়ে নেন।

নোয়াখালীর সদর উপজেলার দত্তবাড়ীর কামারশালার উত্তম কর্মকার (৫৫) জানান, তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি এ কাজ করে তার জীবিকা নির্বাহ করছেন। তার পরিবারের সদস্যরাও উক্ত কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

এ সময়টা কত টাকা আয় হচ্ছে? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকলে অন্তত ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবো।

জিকেরাহাত/নিজস্ব প্রতিনিধি/১০ সেপ্টম্বর ২০১৬