press-conparens-pic

বেগমগঞ্জ প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দিন সুজন, যুবলীগ কর্মী এমাম উদ্দিন ও ছাত্রলীগ নেতা রাসেলকে গ্রেফতার করে অস্ত্র মামলায় জেলে পাঠানোর প্রতিবাদে ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে চৌমুহনী পাবলিক হলে সুজনের পরিবারের সদস্যরা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে আ’লীগ নেতা জাবেদ উদ্দিন সুজনের স্ত্রী তাজকেরা বেগম জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে র‌্যাব-১১ এর সদস্যরা আমাদের বাড়িতে অভিযান চালায়।

এ সময় তারা আমার স্বামী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক জাবেদ উদ্দিন সুজনকে আটক করে ব্যাপক নির্যাতন শুরু করে। এতে রক্তে ঘরের মেঝে ভোসে যায়। এ সময় আমাদের অবুঝ সন্তানরা কান্নাকাটি শুরু করে।

একই সময় র‌্যাব সদস্যরা ছাত্রলীগ নেতা রাসেল ও যুবলীগ নেতা এমাম উদ্দিনকেও আটক করে নির্যানত করতে করতে গাড়িতে করে নিয়ে যায়। পরে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে মর্মে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়।

তিনি বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক দাবী করে আরো বলেন, বিগত ইউপি নির্বাচনের সময় তৃনমূলের ভোটে আমার স্বামী জাবেদ উদ্দিন সুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে মনোনয়ন পাওয়ার পর পরই একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নামে এবং বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে চৌমুহনী পৌর মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সল এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জিনহাজ আহম্মেদ জাবেদ ইউপি নির্বাচনে কাদিরপুর ইউনিয়ন থেকে সালাহ উদ্দিনকে মনোনয়ন পাইয়ে দেন। এরপর সালাহ উদ্দিন ও আক্তার হোসেন ফয়সলসহ ষড়যন্ত্রকারীরা র‌্যাব-১১ কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই ঘটনা সাজায়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ্য করেন, আমার স্বামীর অপরাধ তিনি কাদিরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একজন জনপ্রিয় নেতা। তিনি ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগষ্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদের লাখ টাকা খরচ করে ৩১ আগষ্ট বিশাল শোক সমাবেশের আয়োজন করে। উক্ত সমাবেশে জেলা, উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ফলে ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেটে পরিণত হন জাবেদ উদ্দিন সুজন। শুধু তাই নয় সুজন সহ অন্যান্যরা গ্রেফতার হলে ষড়যন্ত্রকারীরা বিভিন্ন পত্রিকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহিৃত করে মিথ্যা তথ্যা সরবরাহ করে। প্রকৃতপক্ষে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা নেই। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসীও নয়।

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন
ষড়যন্ত্রনের শিকার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দিন সুজন, যুবলীগ কর্মী এমাম উদ্দিন ও ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের পরিবারের সদস্যরা। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।

জিকেআরটি/নোয়াখালীর পাতা ডেস্ক/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬