hatia

হাতিয়া প্রতিনিধি:
সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ৪৫ জন হজ্ব যাত্রী সংগ্রহের জায়গায় ৭৬ জন হজ্ব যাত্রী সংগ্রহ করেও হজ্ব গাইড তালিকা থেকে বাদ পড়লেন নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পাঁচ বারের হজ্ব গাইডের দায়িত্ব পালন করা আমিনুর রসুল।

সকল তথ্য প্রমাণ সহকারে ধর্ম মন্ত্রীর নিকট আবেদন করলেও এক্ষেত্রে ধর্ম মন্ত্রীর সুপারিশও উপেক্ষিত। এর ফলে আমিনুর রসুলের মাধ্যমে নিবন্ধিত হজ্ব যাত্রীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।

জানাযায় হাতিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের ছেলে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আমিনুর রসুল গত পাঁচ বছর ধরে সরকারী নিয়ম মেনে হজ্ব গাইড হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

সরকারী নিয়ম অনুযায়ী এবারও হাতিয়া উপজেলা থেকে ৫১ জন ও অন্য উপজেলা হইতে ২৫ জন মোট ৭৬ জন হজ্ব যাত্রীকে নিবন্ধন করান।

তার মাধ্যমে নিবন্ধিত হজ্ব যাত্রীদের তথ্য প্রমানাদি দেখে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ২৭ জুন তাকে প্রথমে রেখে ৩ জনকে হজ্ব গাইড হিসাবে মনোনীত করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ে লিখিত ভাবে জানান।

জেলা প্রশাসকের চিঠি ও হজ্ব গাইডদের যোগ্যতার তথ্য প্রমানাদি যাচাই করে মো: শহিদুল্লাহ তালুকদার, সহকারী সচিব (হজ্ব-২) স্বাক্ষরিত ১৮ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে সরকার কর্তৃক মনোনীত হজ্ব গাইডদের তালিকা প্রকাশ করেন।

এতে আমিনুর রসুল ক্রমিক নং ২৫ হজ্ব গাইড হিসাবে মনোনীত হন। কিন্তু তার পরদিন হজ্ব মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সংশোধিত তালিকায় তার নাম না দেখে তিনি ধর্ম মন্ত্রীর নিকট একটি লিখিত আবেদন করেন।

ধর্ম মন্ত্রী ৩১ জুলাই আবেদনের প্রেক্ষিতে সচিবকে বিষয়টির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন।

কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে আমিনুর রসুলকে কোন আশ্বাস দেয়া হয়নি।
আমিনুর রসুলের দাবী সকল যোগ্যতা ও নিয়ম মানার পরেও তাকে কিছু দুর্নীতি কারী কর্মকর্তার কারনে তাকে হজ্ব গাইড থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

এদিকে আমিনুর রসুলের মাধ্যমে নিবন্ধিত হজ্বযাত্রীরা তাকে হজ্ব গাইড হিসাবে বাদ দেয়ায় চরম আতংকে রয়েছে।

তাদের দাবী একজন অপরিচিত ও জানাশুনা না থাকা লোককে গাইড হিসাবে পেলে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।