খোলা কলাম | তারিখঃ August 1st, 2016 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 554 বার

আনোয়ারুল হক আনোয়ার :
দুনিয়াতে যত পেশা রয়েছে তন্মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ পেশার নাম হচ্ছে সাংবাদিকতা। ভাল লিখলে ধন্যবাদ আর অন্যায়ের বিরুদ্বে লিখলে ঝক্কি ঝামেলা কিংবা মামলা মোকদ্দমা কপালে জুটে । ফলে আজকাল গতানুগতিক সংবাদ পরিবেশন করাটা শ্রেয় মনে করেন অনেকে। কারন , অপরাধ / দূর্নীতির বিরুদ্বে কলম ধরতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে শেষতক কারাবাস ভাগ্যে জুটেছে।
দূ:খ এখানেই শেষ নয়, নির্ভীক ও সাহসী সাংবাদিকতা করতে গেলে পদে পদে ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। আবার কিছু কিছু সাংবাদিকেআছে যারা একে অপরকে সহ্য করতে পারেনা। এর কারন হচ্ছে, কর্মজীবনে একজন উপরে উঠে যাচ্ছে – অথচ আমি উপরে উঠতে পারছিনা কেন ? যাকে বলে হীনমন্যতার বহি:প্রকাশ। অথচ এরাই সাংবাদিকতা পেশাকে কলুষিত করে নিজেরাই রসাতলে যাচ্ছে। আর যাদেরকে খাটো করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তারাই সন্মানিত ও উচুঁপদে অসীন হচ্ছে।
একবার এক সাংবাদিক দূর্নীতির বিরুদ্বে নিউজ করে মহা বিপাকে পড়ে। নিউজটি প্রকাশিত হবার পর তাকে গ্রেফতার ও মামলায় জড়ানোর জন্য কতিপয় সাংবাদিক প্রশাসনে তদবির শুরু করে। এধরনের অসংখ্য প্রমানাদি রয়েছে।
প্রায় দেড় দশক পূর্বে দূর্নীতিবাজ একজন আমলার বিরুদ্বে একটা নিউজ করার পর কতিপয় সাংবাদিক বন্ধু তৎকালীন এসপি’কে দিয়ে আমাকে হয়রানির অপচেষ্টা চালায় । কিন্তু তারা হয়তো জানতো না যে, উক্ত এসপি ছিল আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ঘটনার পর পরই ভদ্রলোকটি আমাকে চায়ের দাওয়াত দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন। এক সময় উক্ত এসপি ডিআইজি পদেও উন্নীত হন। ইদানিং সাংবাদিকতায় অনেক নতুন মুখ আসছে। এদের অনেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা, পারিবারিক ঐতিহ্য সম্পন্ন সৎ এবং সাহসী। কিন্তু এসব নবাগত সাংবাদিকদের সহ্য করতে পারছেনা ঘাপটি মেরে থাকা তথাকথিত শকুনের দল। অসহযোগীতা ও বিরুদ্বাচরনের মাধ্যমে এদের প্রতিভাকে বার বার বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে।
অর্থাৎ আপনি যদি সৎ থাকতে চান-তাহলেও আপনার রক্ষা নাই। প্রতি পদে পদে আপনাকে চরম ঝুঁকি নিতে হবে । আর যদি অন্যায়ের পথে নিজেকে উজাড় করে দেন -তাহলে হয়ত সাময়িক তৃপ্তি পাওয়া যায়। কিন্তু পরবর্তীতে
সমাজে ঘৃণিত ব্যক্তির বোঝা আপনাকেই বইতে হবে।
ঘরে বাইরে নানাবিধ ঝামেলার কারনে সৎ ও সাহসী সাংবাদিকগন এখন সতর্কতার সাথে সংবাদ পরিবেশন করছে । অর্র্থাৎ ঘরে বাইরে মহাযুদ্ব। এরপরও একজন সাংবাদিক এখন নিজে এবং প্রতিষ্ঠানকে রক্ষার মাধ্যমে কাজ সম্পাদন করতে বাধ্য হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী আকাশ ও নৌপথে দূর্ঘটনাজনিত কারনে জরুরী সাহায্য চেয়ে সর্বত্র একটি বার্তা প্রেরন করা হয়। ইংরেজীতে যার সংকেতিক নাম SOS অর্থাৎ save our soles. এটাকে অন্যভাবে খন্ডন করলে SOS হবে SAVE OWN SCEN. অর্থাৎ আগে নিজের চামড়া SAVE করতে হবে। আর এখন হয়তো এপথেই চলছে সাংবাদিকতা।
লেখক : সিনিয়র রিপোর্টার ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- কাজী অফিস নোয়াখালী চৌমুহনী
- চাটখিলের শাহাপুরে আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
- বন্ধু জুতা সেলাই করছেন, পাশে বসে গল্প করছেন মাশরাফি
- গতকাল থেকে খালেদা জিয়ার জ্বর
- জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন সমন্বয়ে প্রকাশ্যে পানের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান !
- নোয়াখালীতে মহিলা বিষয়ক দপ্তরে জাতীয় পতাকা না করায় তদপ্ত সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার করার অনুরোধ
- নোয়াখালীতে পূজামন্ডপ পরিদর্শন ও অনুদান প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী
- ব্র্যাক এর সহযোগীতায় নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
- মেডিকেল সেন্টার উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু, ভবিষ্যতে এটি নোবিপ্রবির আধুনিক হেলথ রিচার্স সেন্টারে উপনিত হবে – প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন
- বিআরটিএ নির্দেশনায় সুশৃঙ্খলভাবে পথ চলার আহবান করেন: জেলা প্রশাসক ও প্রকৌশলীগন
Leave a Reply