খোলা কলাম | তারিখঃ July 28th, 2016 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 564 বার

জঙ্গীবাদের কালো থাবা বর্তমান বিশ্বে ভয়াবহ ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব রাজনীতিতে জঙ্গীবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। গুলশান হামলার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুলশান হামলা বিদেশীদের মনে তৈরি করেছে সংশয়, জনমনে তৈরী করেছে উৎকন্ঠা। হামলার পর পরই আই এস এর দায় স্বীকার করে নিলেও সরকার বলছে আই এস নয় এটি দেশীয় জঙ্গীদের ( ঐড়সব এৎড়হি ) কাজ। এই হামলার সাথে আই এস জড়িত হোক বা দেশীয় জঙ্গী জড়ীত হোক মূল কথা হলো জঙ্গীবাদ এ দেশে মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে যা এদেশের জনগনের মনে আতন্ক তৈরি করেছে।
সরকার ইতিমধ্যে দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করতে দৃশ্যমান অনেক গুলো পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক আবস্থায় রেখেছেন। মাদ্রাসা এবং মসজিদের হুজুরদের এগিয়ে আসতে আহ্বান করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে জঙ্গীবাদ বিরোধী শ্লোগান জোরালো করতে বলা হয়েছে। পিতা-মাতাদের সন্তান সম্পর্কে সচেতন হতে বলা হয়েছে। স্কুল কলেজে ছাত্রদের অনুপস্থিতি সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এতসবের পরও জঙ্গীবাদ দমন করা কি সম্ভব? আমরা কি পারবো জঙ্গীবাদ মুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়তে?
আমাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাই পারে জঙ্গীবাদ মুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়তে। কিন্তু কিভাবে? তার জন্য আমাদেরকে সমস্যার গভীরে যেতে হবে। বর্তমান সময়ের জঙ্গীরা ইসলাম কায়েম করার জন্য অস্ত্র হাতে নিয়েছে। মানুষ হত্যা করছে। শরীরে বোমা বেঁধে জাপিয়ে পড়ছে অন্য মানুষের উপর। কিন্তু প্রশ্ন হলো ইসলামকি এই পন্থা সমর্থন করে? এর সাথে কি ইসলামের নূন্যতম সম্পর্ক আছে? উত্তরঃ না। ইসলাম মানুষ হত্যা তথা জীব হত্যাকে সমর্থন করেনা। ইসলামের শিক্ষা হলোঃ সব মানুষ এক আল্লাহর বান্দা; যারা বিশ্বাসী তারা আল্লাহর অনুগত বান্দা। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে “কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন মোমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম; সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন; তাকে লানত করবেন এবং তার জন্য মহা শাস্তি প্রস্তুত রাখবেন” (সুরা – নিসা; আয়াত ঃ ৯৩)
ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ন্যায়পরায়নতা, সুবিচার, ও সুন্দর আচরণ শিক্ষা দেয়। হত্যা নয় ইসলাম বিশ্ব ব্যাপী মানবভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্টার নির্দেশ দেয়। কোরআন করিমে রয়েছে “ পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করো না” (সুরা- বাকারা; আয়াতঃ ১১)
কিন্তু ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে তারা অশান্তি সৃষ্টি করছে, মানুষ হত্যা করছে, মানুষের মাঝে বিবেদ তৈরী করছে, যা সম্পূর্ণ ইসলাম পরিপন্থী। তাই আসুন আমরা সবাই যে যার অবস্থান থেকে সচেতন হই যেন ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে কেউ অশান্তি তৈরী করতে না পারে এবং মানুষ হত্যা করতে না পারে।
ইসলাম নৈতিকতা, উন্নত মূল্যবোধ এবং সহনশীলতা প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়। ইসলাম মানব হত্যার নির্দেশ দেয় না।
লেখকঃ আহমেদ উল্যাহ পারভেজ
অফিসার, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, নোয়াখালী শাখা, নোয়াখালী।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- কাজী অফিস নোয়াখালী চৌমুহনী
- চাটখিলের শাহাপুরে আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
- বন্ধু জুতা সেলাই করছেন, পাশে বসে গল্প করছেন মাশরাফি
- গতকাল থেকে খালেদা জিয়ার জ্বর
- জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন সমন্বয়ে প্রকাশ্যে পানের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান !
- নোয়াখালীতে মহিলা বিষয়ক দপ্তরে জাতীয় পতাকা না করায় তদপ্ত সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার করার অনুরোধ
- নোয়াখালীতে পূজামন্ডপ পরিদর্শন ও অনুদান প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী
- ব্র্যাক এর সহযোগীতায় নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
- মেডিকেল সেন্টার উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু, ভবিষ্যতে এটি নোবিপ্রবির আধুনিক হেলথ রিচার্স সেন্টারে উপনিত হবে – প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন
- বিআরটিএ নির্দেশনায় সুশৃঙ্খলভাবে পথ চলার আহবান করেন: জেলা প্রশাসক ও প্রকৌশলীগন
Leave a Reply