Noakhali DEATH BOADY RECOVERY photo
নিজস্ব প্রতিনিধি:
নোয়াখালী শহরের কৃষ্ণরামপুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ জহির উদ্দিনকে গলাকেটে খুন করা হয়ছে বলে মতামত দিয়েছেন ময়না তনন্তকারী চিকিৎসকেরা। শনিবার এমন মতামত সম্বলিত প্রতিবেদন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

তদন্ত্র প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতারের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান তিনিসহ দুই চিকিৎসকের যৌথ স্বাক্ষরে জহির উদ্দিনের লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তকারী অপর চিকিৎসক হলেন মো: শামীম রেজা।

“ময়না তদন্তকালে মৃতদেহের গলাকাটার ধরণ দেখেই মনে হয়েছে ওই ব্যাক্তিকে গলাকেটে খুন করা হয়েছে। কারণ কেউ নিজেই নিজের গলা কাটলে এতটা গভীর কাটা যাওয়ার কথা নয়, যতই গভীর পর্যন্ত কাটা ছিলো মৃত দেহটির গলায়। তা ছাড়া নিহত ব্যক্তির বাম হাতের তালু ও তিনটি আঙুলের কাটা দেখে তিনি আত্মরক্ষার চেষ্ঠা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ.কে এম জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটিকে আতœহত্যা বলেই মনে হয়েছে। শুধু একটা জায়গায় সন্দেহ, সেটি হল গলায় কাটার যাওয়ার ধরণ। এ কারণে পিআইভি ও সিআইডির সহযোগীতা নিয়ে হাত ও পায়ের আঙুলের ছাপ সরক্ষণ করাসহ আরও কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

এদিকে ইমাম জহির উদ্দিনের গলা কাটা লাশ উদ্দারের ঘটনাটির তদন্তে থানা পুলিশকে সহযোগিতা করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হাওয়া রক্তামাখা ছুরি এবং মৃত ব্যক্তির হাতের ও মেঝে থেকে পায়ের আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গার পিন্ট) সংগ্রহে করেছে। এছাড়া লাশ উদ্ধারের সময় পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেশস্টিগেশনের (পিভিআই) সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত সংগ্রহ করেছেন। তারাও বিষয়টি তদন্ত করছেন।

প্রসঙ্গত; গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে এগরটার পর কৃষ্ণরামপুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ জহির উদ্দিনের নিজ বাড়ীর শোবার ঘর থেকে গলাকাটা লাশ উদ্দার করে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের দাবি নিহত জহির উদ্দিন মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন যার কারণে তিনি নিজেই নিজের গলাকেটে আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে এলাবাবানী কোন ভাবই মানতে না রাজ যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তার বড় ভাই হেলাল উদ্দিন জসীম সহ এলাকাবাসী এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করেন।