Noakhali Hatiya PLABON News 18 July 2016 pic (1)

নিজস্ব প্রতিনিধি:
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি, নদীতে অতিরিক্ত জোয়ার ও কয়েকটি জায়গায় বেড়িবাঁধ ছিঁড়ে যাওয়ায় নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বুড়িরচর, চরঈশ্বর, সোনাদিয়া ও জাহাজমারা ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সোমবার দুপুর পর্যন্ত টানাবর্ষণ ও জোয়ারের পানি গ্রামগুলোতে ডুকে পড়লে গ্রাম গুলো প্লাবিত হয়। প্লাবিত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে, সোনাদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাদিয়া, মধ্য সোনাদিয়া, মধ্য গ্রাম, চরচেঙ্গা, মধ্য চরচেঙ্গা, মাইচরা, মধ্য মাইচরা গ্রাম। জাহাজমারা ইউনিয়নের চরহেয়ার, আমতলি, বিরবিরি, মধ্য বিরবিরি, মেঘফ্যাশন, মোহাম্মদপুর, উকিলয়াগো গোপট ও জাহাজমারা গ্রামসহ বুড়িরচর এবং চরঈশ্বর ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টি, মেঘনা নদীতে অতিরিক্ত জোয়ার ও কয়েকটি স্থানে জোয়ারের পানির আঘাতে বেড়ি বাঁধ ছিঁড়ে যাওয়া উল্লেখিত গ্রামগুলোতে পানি ডুকে পড়েছে। প্লাবিত গ্রাম গুলোর অন্তত ২৫হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জোয়ারের পানিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গ্রামগুলোর অধিকাংশ কাচা গাছপালা হেলে পড়েছে।

Noakhali Hatiya PLABON News 18 July 2016 pic (3)

সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মালেশিয়া জোয়ারের পানিতে তার এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে দাবী করে জানান, মাইচরা ও চরচেঙ্গা বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থানে ছিঁড়ে যাওয়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে তার ইউনিয়নের অন্তত ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে ওই এলাকাগুলোতে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানির কারণে কৃষকদের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর্যন্ত কোন খাল খনন, পানি নিষ্কাশন ও বেড়িবাঁধ সংষ্কার না করায় টানা বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানি প্লাবিত গ্রাম গুলো থেকে বের হতে পারছেনা। নতুন করে খাল খননের জন্য তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিদিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবদেন করেছেন বলে জানিয়েছেন।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসান মো. মহি উদ্দিন জানান, উপক‚লীয় অঞ্চলের ২৫/৩০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে শুনেছি। প্লাবিত গ্রামগুলোর খবর নেওয়া হচ্ছে।