Hatiya-PIC

হাতিয়া প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ১০ জুলাই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঈদ পূণর্মিলনীর নামে সমাবেশ ডাকে আওয়ামীলীগের একাংশ। সমাবেশকে কেন্দ্র করে হাতিয়ার খাসেরহাট বাজার ও ছৈয়দিয়া বাজারে হামলায় ২০ জন আহত হয়। এসময় ২০টি দোকান, ৪টি মোটর সাইকেল ও বসত বাড়ীতে হামলা করা হয়। পরে নির্দিষ্ট স্থানে অনুষ্ঠিত সমাবেশস্থলের মঞ্চের পিছনে থাকা ব্যানার থেকে ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান লেখা থাকলেও হাতিয়া থানার ওসি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান এটি জঙ্গী বিরোধী সমাবেশ।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি মিছিল খাসেরহাট বাজারে এসে প্রতিপক্ষের দোকান ও বসত বাড়ীতে হামলা করে। এসময় ২০টি দোকান ভাংচুর, ৪টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও একটি বাড়ীতে হামলা করা হয়। হামলায় প্রতিপক্ষের ৪ সমর্থক আহত হয়।

একই দিন সোনাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মালেশিয়ার নেতৃত্বে একটি মিছিল ছৈয়দিয়া বাজারে এসে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের উপর হামলা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা ছৈয়দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় তারা প্রতিপক্ষের সমর্থক আশ্রাফ উদ্দিনকে কুপিয়ে জখম করে। মুমুর্ষ অবস্থায় থাকে প্রথমে হাতিয়া ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। এসব ঘটনায় হাতিয়া থানায় পক্ষ বিপক্ষের বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে।

এসব হামলার সময় হাতিয়া থানা পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা ছিল নীরব ও নির্বাক। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করলেও আইন শৃংখলা বাহিনীর কিছুই করার ছিলনা।

এদিকে এ ঘটনায় হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সরাসরি এটি জঙ্গী ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বক্তব্য দেন। কিন্তু ঘটনার পরদিন বিভিন্ন গণমাধ্যম ও জাতীয় অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও ছবির মাধ্যমে জানা যায় জঙ্গী ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ বলা হলেও এটি ছিল মুলত আওয়ামীলীগের একাংশের ঈদ পূনর্মিলনী।