ইরান-1
নিজস্ব প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে একটি চা দোকানে গ্যাসের আগুনে তিন শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ হয়েছে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাহিম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ফাহিমের মৃত্যু হয়। নিহত ফাহিম (৭) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের তরিকুল ইসলামের ছেলে। দগ্ধ আহতরা হচ্ছেন, একই এলাকার নূরনবীর ছেলে শাফায়েত হোসেন (১১), মো. সেলিমের ছেলে জিশোর (১৩), আবুল কালামের ছেলে ও দোকানের মালিক মামুন (২০) সহ ৪জন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) হেদায়েত উল্যাহ মানিক জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ইউনিয়নের বাগদা বাজারে মামুনের চা দোকানে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় ওই দোকানে পণ্য (ক্রয়) কিনতে আসা আসা ফাহিম, শাফায়েত, জিশোর ও দোকানের মালিক মামুনসহ ৫জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হয়।

পরে স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে কয়েকজনকে নোয়াখালী জেনারেল এবং ঢাকায় প্রেরণ করে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় শিশু ফাহিমকে হাসপাতালে ভর্তির পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। আগুনে ফাহিমের শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে গ্যাসের অটো চুলায় আগে থেকে লিক থাকায় গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে ছিল। পরে দোকানের মালিক মামুন চুলায় আগুন দিতে গেলে আগুন পুরো দোকানে ছড়িয়ে পড়ে ৫জন দগ্ধ হয়।