received_290720414613872

নিজস্ব প্রতিনিধি,
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পুলিশ’সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় অন্তত ২৬টি দোকানে লুটপাট, ২টি দোকান ও ৩টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় সংঘর্ষকারীরা।

রোববার দুপুর ১২টা থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দুপুর ২টা পর্যন্ত খাসেরহাট বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন, হাতিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আশ্রাফ (৪০), কামাল উদ্দিন (৩৫) ও ফখরুল ইসলাম (৩০) সহ ২০ জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে হাতিয়া পৌরসভার ওছখালী বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সাধারন সম্পাদক ও চরকিং ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ একটি সমাবেশের আয়োজন করে। দুপুরে মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যাচ্ছিলেন। এসময় মিছিলটি খাসেরহাট বাজারে পৌঁছলে সদ্য শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন মুহিনের বাজারে থাকা কয়েকজন সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় তারা। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সংঘর্ষকারীরা বাজারের অন্তত ২৬টি দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট, ২টি দোকান, স্থানীয় সিদ্দিক মাস্টারের বাড়ীতে ভাঙচুর ও ৩টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। সংঘর্ষে পুলিশ’সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী বিরোধের জের ধরে হাতিয়া পৌরসভার সৈয়দিয়া বাজার সংলগ্ন নহেল কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আশ্রাফ নামের এক আ’লীগ কর্মীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে সমাবেশে যোগদিতে যাওয়া সোনাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম মালোশিয়ার সমর্থকরা। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত আশ্রাফকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিছুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে তিনি’সহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান ওসি।