1
নিজস্ব প্রতিনিধি:
শত বাধা পেরিয়ে নোয়াখালীর চর জব্বার ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারি কলেজবিহীন উপজেলায় ১টি করে কলেজ জাতীয়করণে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর শিা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত একটি কমিটি ৩২৫টি কলেজ জাতীয়করণের ল্য নির্ধারণ করে। এগুলো প্রধানমন্ত্রীর চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় জুন মাসে।

এরপর নানা অভিযোগের পরিপ্রেেিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আবারো যাচাইবাছাই হয়।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৯৯টি কলেজের দুইটি পৃথক তালিকা কঠোর গোপনীয়তায় শিা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এর মধ্যে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী কলেজ ও চর জব্বার ডিগ্রি কলেজ রয়েছে।
চর জব্বার থানা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সহিদ উল্যাহ বাচ্চু বলেন, “শতবাধা পেরিয়ে চর জব্বার ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণের ঘোষণা এসেছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

তিনি জানান,নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা সদরে প্রথম প্রতিষ্ঠিত ও ঐতিহ্যবাহী চরজব্বার ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণে চুডান্ত অনুমোদন করায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং স্থানীয় সাংসদ জনাব একরামুল করিম চৌধুরী ( নোয়াখালী-৪)কে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
একটি কুচক্রিমহল জাতীয়করণের ঘোষণা আসার পরেও অশূভ পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

উল্লেখ্য. সুবর্ণচর উপজেলা সদরের দেড় কিলোমিটার কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও চর জব্বার ডিগ্রি কলেজকে তিন নম্বরে ও ৬ কিলোমিটার দূরে হওয়ার পরও সৈকত ডিগ্রি কলেজকে তালিকার এক নম্বরে স্থানে রাখা হয়েছিল। ফলে প্রশাসনের দেওয়া দূরত্বসীমার ভুল তথ্যের কারণে সরকারিকরণে বঞ্চিত হচ্ছিল চর জাব্বার ডিগ্রি কলেজ।

পরে চর জব্বর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রেরিত ছকে উল্লেখিত তথ্যটি জানাজানি হওয়ার পর দূরত্বসীমায় তথ্য বিভ্রাটে আপত্তি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী, সচিব শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা ও জেলা প্রশাসকের নিকট একটি চিঠি দেন। এরপর নানা অভিযোগের পরিপ্রেেিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আবারো যাচাইবাছাই হয়।