25

ডেস্ক : বাবা হচ্ছেন সন্তানের নির্ভরযোগ্য আশ্রয়। বাবা স্নেহশীল। কর্তব্যপরায়ণ। সন্তানদের সব কাজ ও অকাজের প্রশ্রয়দাতা। বাবার তুলনা বাবা নিজেই। সন্তানের দুঃখে-সুখে-বিপদে-আনন্দে সব সময় পাশে থাকেন- একমাত্র বাবা-ই। এ কারণে পৃথিবীর সব বাবারাই সন্তানের কাছে অগাধ শ্রদ্ধার।

প্রতি বছরের জুন মাসের তৃতীয় রবিবার পালিত হয় ‘বাবা দিবস’। সে হিসেবে এবছরের ১৯ জুন এই দিবস। আসলে মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্বশীল- এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসের পালনের শুরু। পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু।

ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই প্রথম ‘বাবা দিবস’ পালিত হয়। আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় প্রথম এই দিনটি পালিত হয়। আবার সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথাতেও বাবা দিবসের আইডিয়া আসে। যদিও তিনি ১৯০৮ এর ভার্জিনিয়ার বাবা দিবসের কথা একেবারেই জানতেন না। ডড এই আইডিয়াটা পান এক গির্জায় পুরোহিতের বক্তব্য থেকে, সেই পুরোহিত আবার মা’কে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন। তার মনে হয়, তাহলে বাবাদের নিয়েও তো কিছু করা দরকার। ডড আবার তার বাবাকে খুব ভালবাসতেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর, অর্থ্যাৎ ১৯১০ সালের ১৯ জুন থেকে ‘বাবা দিবস’ পালন করা শুরু করেন।

প্রথমদিকে কিন্তু‘বাবা দিবস’ বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই পালিত হতো! ধীরে ধীরে অবস্থা পাল্টায়, ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসে ছুটি ঘোষণার জন্য একটি বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে সে সময়কার আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন বাবা দিবসে ছুটি ঘোষণা করেন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার ‘বাবা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। বাবা দিবসের প্রচলন বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই।

কোনো কোনো সন্তানের কাছে বাবা পথপ্রদর্শক। অনেকেই বাবাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। অনেক দেশে কার্ডও উপহার দেওয়া হয়। যাদের বাবা বেঁচে নেই, তারা হয়তো আকাশে তাকিয়ে অলক্ষ্যে বাবার স্মৃতি হাতড়ায়। ‘বাবা’ ছোট্ট একটি শব্দ, অথচ এর ব্যাপকতা বিশাল। কারো মনে এ প্রশ্নও জাগে, বাবা কি শুধুই একটি বিশেষ দিনের জন্য! বলবো অবশ্যই না। তবে একটি দিন বাবাকে বিশেষভাবে উইশ করলে, বাবার জন্য প্রার্থণা জানালে- দোষেরই বা কী আছে।