11108861_10205951537404174_3443624535094423918_n copy

নোয়াখালীর গ্রাম অঞ্চলের সন্ধ্যা বা রাতের উঠোনে আড্ডা জমতো যে সব ধাঁধাঁ বা স্লোক দিয়ে তাদের মধ্যে থেকে কিছু সংখ্যক ধাঁধাঁ/শ্লোক নিচে দেওয়া হলো-
কেরে ভাই চৈত রাঙ্গা, গাছের আগাত হৈল হোনা।
উত্তরঃ খেজুর

এক বুড়ির এক দাঁত হইত্তো বেনে গোশত ভাত।
উত্তরঃ দাঁতের খিলাইল।

গাছ নাই আছে পাতা, মুখ নাই কয় কথা।
উত্তরঃ বই।

আত আছে পা নাই, আস্তা মানুষ গিলি খাই।
উত্তরঃ জামা/শার্ট।

কোন গাছের হাতা, ইজ্জতের মাতা।
উত্তরঃ পান।

উরফে কাঁডা, ভিত্তে আঠা….. কিয়া?
উত্তরঃ কাঁঠাল।

আজি গেলে টোগাই, হাইলে নি না।
উত্তরঃ রাস্তা।

কি আজব কতা….. ফলের আগায় হাতা।
উত্তরঃ আনারস।

আট চালা ঘর তার এক্কান খুঁডি, বন্ধ কইতে আইলে চিপি ধরো টুটি।
উত্তরঃ ছাতা।

কোন হাতার গাছ নাই, কন চাই বইন ভাই…….
উত্তরঃ চোখের হাতা।

ঢালা ভরা সুপারি, গইনত্ েহাইরবো কোন ব্যাপারী?
উত্তরঃ আকাশ ভরা তারা।

লাল মিয়া হাঁটে যায়, গালে গালে চোবাড় খায়।
উত্তরঃ মাডির কলসী।

আঁডে গুর গুর, ছাঁডে মাডি ছ চোক তিন হুগুডি।
উত্তরঃ চাষী ও নাঙ্গল।

সবুজ মিয়া হাটে যায়, ১০১ গা চিমড় খায়।
উত্তরঃ লাউ/কদু

ছোট্ট এক্কান গাছে……. লাল পরি নাছে।
উত্তরঃ মরিচ গাছ।

আল্লাহর কি কুদরত, লাডির ভিতরে শরবত।
উত্তরঃ গেন্ডারি।

দিনে আনি দিনে খায়, পুষ্প তার মাসতুতো ভাই।
উত্তরঃ মৌমাছি।

এই বার কন কোন গাছে চার তরকারী?
উত্তরঃ কচু।

ছোড পুকুর জল টল মল করে, কারো সাধ্য নাই জাল মাইত্তো ফারে।
উত্তরঃ চোখ।

এমন কে সে? মাটি খায় আর মাটি হাগে??
উত্তরঃ কেঁচো।

আজব জিনিস দেইকলাম মাইজদীর হাটে, দুই মাতা, আট পা, লেজ তার পিঠে।
উত্তরঃ দাঁড়িপাল্লা।

আগা ঝনঝন, গোড়া মোটা…….
উত্তরঃ হিছা (ঝাড়–)

এ ঘর যাই, ও ঘর যাই, দুম দুমাইয়া আছাড় খাই।
উত্তরঃ হিছা (ঝাড়–)

কোন ফলের বীজ নাই, কন দেখি দাদা,
বইলতে না হাইল্লে, হইবেন আন্নে গাধা।
উত্তরঃ নারিকেল।
সংগ্রহে- আহমেদ উল্যাহ পারভেজ, অফিসার, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, নোয়াখালী শাখা, নোয়াখালী।