Hatiya School

নিজস্ব প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর হাতিয়ায় দুই জেলার সিমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই সপ্তাহ ধরে তালা ঝুলছে দশটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সন্তানের শিক্ষা জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক। কোন ধরনের প্রশাসনিক উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হরনী ইউনিয়নের বয়ারচর এলাকা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরগাজি ইউনিয়নের লোকজন তাদের বলে দাবী করে আসছে। চরগাজী ইউনিয়নের লোকজন এ দাবীর প্রতিফলন ঘটায় বারবার বিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষাজীবন জিম্মি করে। রয়ারচর এলাকার বাইশটি গ্রামে আছে দশটি সরকারী-বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯ প্রপ্রিল দুপুরে ৩০/৪০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

বিদ্যালয় খুলে পুনরায় কাশ চালু করলে শিক্ষকদের প্রাননাশের হুমকি দেযায় ২০ এপ্রিল ১০ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হাতিয়া থানায় সাধারন ডায়েরি করে।

এক মাসের অধিক সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় দশটি বিদ্যালয়ের আড়াই হাজার ছাত্র-ছাত্রী দেশব্যাপি শুরু হওয়া ১ম সাময়িক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।

শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও বিদ্যালয় খুলে দেয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সন্তানের শিক্ষা জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন- লক্ষীপুর জেলার রামগতির কিছু লোক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের বের করে দিয়ে তালা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখায় বিঘœ সৃষ্টি করছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আপেষ-মীমাংসা করে বিদ্যালয় খুলে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত আছে।