13249408_1123191041056594_1139051478_n

আমি বড় হয়ে ডাক্তার হয়ে সমাজে আমার বাবা মায়ের মুখ উজ্জল করবো। কথা গুলো অকপটে বলছিলো চাটখিল উপজেলার ভীমপুর গ্রামের নেয়াজ উদ্দিন পাটোয়ারি বাড়ির দিনমজুর মনির হোসেন(মনু)র ছেলে রাকিব হোসেন(১০)।
জানাযায়, সে ২০১৫ সালের সমাপনি পরীক্ষায় আবু তোরাব নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে জিপিএ৫ সহ টেলেন্টপুল বৃত্তি পেয়েছে। তার বাবা পেশায় একজন রিক্সা চালক। সম্পত্তি বলতে কিছুই নাই, বসত ঘরের উপরে টিন থাকলেও চার পাশই খোলা। ৪ ভাই বোনের মধ্যে সে সবার বড়। বর্তমানে সে চাটখিল পাচগাও সরকারি হাই স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে পড়ালেখা করছে,সেখানে স্কুলের বেতন ২৭৫ দেওয়ার অনেক দিন থেকে বকেয়া পড়ে আছে।
তার বাবা জানান, আমার এই অভাবের সংসারে যেখানে নুন আনতে পান্তা পুরায়, সেখানে রাকিব সহ সব ছেলে-মেয়ের পড়ালেখা চালানো আমার জন্য খুবই কষ্টকর। অর্থের অভাবে একটা জামা কিনে দিতে পারিনাই ছেলেকে, ধার করা পুরনো জামা পরে সে প্রতিদিন স্কুলে যেত। তারপর ও আমি আমার এই ছেলেকে ডাক্তার বানাবো। তার ছেলেকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির মহা যুগ্ন-সম্পাদক ও চাটখিল উপজেলা শাখা সভাপতি এবং উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন কুসুম আলোকিত নোয়াখালীকে বলেন, রাকিব ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র তার পড়ালেখার প্রতি অতি আগ্রহ দেখে আমরা তাকে বিনা টাকায় স্কুলের পরে অথবা সন্ধ্যায় পড়াইছি। এছাড়াও আমি ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে তাকে যতটুকু সম্ভব আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করেছি। আমার বিশ্বাস সে জীবনে অনেক ভালো কিছু করতে পারবে,আমি তাহার মঙ্গল কামনা করি।