‘চাকরি ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় সাংবাদিকরা : অনিশ্চয়তায় সাংবাদিকদের পরিবার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন-

গত দেড় দশকে বাংলাদেশে ২৩ জন সাংবাদিক খুন হয়েছে। এর মধ্যে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে খুন হয়েছে ১৪ জন এবং হামলায় আহত হয়েছে ৫৬১ জন সাংবাদিক। এছাড়া ২০০৭ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে খুন হয়েছেন আরো নয় জন।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি খুনের চতুর্থবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে দ্য ইকোনোমি টুডে ডট নিউজ।

সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন দ্য ইকোনোমি টুডে ডট নিউজের প্রধান সম্পাদক রহমান মুস্তাফিজ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও খুনের চিত্র তুলে ধরেন।

খুন ছাড়াও সাংবাদিকদের পরিবারের ভোগান্তির কথা তুলে ধরে রহমান মুস্তাফিজ বলেন, ‘যখন তখন চাকরিচ্যুতির আতঙ্কে থাকতে হয় সংবাদকর্মীদের। নিয়মিত বেতন না পাওয়ার সমস্যার পাশাপাশি বেতন চাইতে গিয়ে চাকরি হারানোর ঘটনাও ঘটে। বেকার জীবনে সংসার চালানোর মতো কঠিন কাজটিও করতে হচ্ছে অনেক সংবাদকর্মীকে।’

তিনি আরো বলেন, ‘চাকরি হারানোর ভয়, নির্ধারিত সময়ে ও নিয়মিত বেতন না পাওয়ার হতাশা থাকলে শতভাগ মনযোগে দিয়ে যেমন দায়িত্ব পালন করা যায় না, তেমনি আবার নৈতিকতা বিসর্জন দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। তাই রাষ্ট্র ও মালিকপক্ষের সচেতনতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করা জরুরি।’

এ সময় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফরইউজে) মহাসচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘একসময় সাংবাদিকদের কোনো প্রকার ক্ষতি করে কেউ পার পেতে পরতো না; কারণ, সাংবাদিকদের মধ্যে একতা ছিল। কিন্তু এখন আমরা বহুভাগে বিভক্ত, তাই যে কেউ আমাদের ক্ষতি করে পার পেয়ে যায়। সব খুনের বিচার হলেও দেশে সাংবাদিক খুনের বিচার হয় না। সাংবাদিকদের মধ্যে এ বিভক্তির কারণেই তারা বিচার আদায় করে নিতে পারে না।’

নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সব সাংবাদিকের এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওমর ফারুক বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে সাংবাদিকদের হত্যার বিচার হবে না সেটা হতে পারে না। সংবাদকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে সামনে আরো বিপদ আছে।’