Facebook20160501160850

‘তুমি এলে অনেক দিন পরে যেন বৃষ্টি এলো। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে গুণগুণ সুরে গানটি গাইতে গাইতে নিউমার্কেটের সামনে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলে যায় মধ্যবয়সী এক ভদ্রলোক। ঠিক তার পাশ দিয়ে খিল খিল শব্দে হেসে হেটে চলে গেল সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কয়েকজন তরুণ-তরুণী।

একটু দূরেই এক রিকশাচালককে ধানমন্ডি ভাড়া যাবে কিনা জিজ্ঞেস করছিল এক ভদ্রমহিলা। রিকশাওয়ালা বৃষ্টিতে ভেজা চুলটা নাড়া দিয়ে বললেন, ‘দিয়েন আপা ১০ টাকা কম আর বেশী। বৃষ্টিতে গাড়ি চালাইতে তো আর দমঠা বাইর অইবোনা।’

Brist

আজ সন্ধ্যায় নামা মওসুমের প্রথম বৃষ্টিতে নগরবাসির প্রাণ জুড়িয়েছে। কোনো কোনো সময় বৃষ্টি বিরক্তির উদ্রেক করলেও আজকের বৃষ্টিতে সবাই আনন্দিত। তারই অভিব্যক্তি ঘটেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

বৃষ্টি নিয়ে অনভূতি প্রকাশ করে দেয়া স্ট্যাটাস দেখে বলা যায়, ফেসবুক পেজ যেন বৃষ্টিস্নাত হয়ে উঠেছে। দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক শরিফুল হাসানের বর্ণণায় ‘ভয়াবহ সুন্দর সেই দৃশ্য। সন্ধ্যার আগে আগে আমি মোটরবাইক চালাচ্ছি। দোয়েল চত্বরে আসতেই দেখি আলো কমছে। গায়ে ঠাণ্ডা হাওয়ার পরশ। টিএসসিতে এসে দেখি প্রচণ্ড ঝড়। কৃষ্ণচূড়া সোনালুর ডাল ভেঙে পড়ছে। চারপাশে ধুলো। চারুকলার সামনে আসতেই বিদ্যুৎ নেই। শাহবাগে পেলাম আকাশ বাতাস কাপিয়ে বৃষ্টি। আমি এখন এই শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। চারপাশে অন্ধকার। এরমধ্যেই বিদ্যুৎ চমক,মেঘের গর্জন আর বৃষ্টির শব্দে কেবলই মুগ্ধতা। আহা বৃষ্টি। ভালোবাসি তোমায়।’

BRISTI

এটিএন বাংলার সংবাদকর্মী প্রভাস আমিন লিখেন, ‘বৃষ্টির অনেক লোভ। দুপুরের লিখলাম ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দেবো না মেপে।’ ব্যস, ধানের লোভে বৃষ্টি চলে এলো। যাক তবু তো এলো। বৃষ্টি তুমি ঝরো অঝোরধারায়।’

পূর্ব পশ্চিম ডটকম সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান লিখেন, বৃষ্টি এলো, ঠান্ডা হাওয়া বইছে ঝড়ের পরে। ছেলেবেলায় কালবোশেখি থামলেই আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় আম কুড়ানোর সূখ! ভাবলেই নস্টালজিক হই। আর কাঁচা আমের চাটনি তাও ছোটপার হাতের বানানো, ভাবলেই জিবে আসে জল।

অনলাইন গণমাধ্যম নিউজ নেক্সট বিডির সংবাদকর্মী ফজলুর লিখেন‘ সক্কলকে প্রথম বৃষ্টির শুভেচ্ছা।‘ঝড় থেমে গেলে পৃথিবী হয় যে শান্ত‘’

আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খোকন লিখেন, অবশেষে অপেক্ষার কি শান্তির বৃষ্টি! শান্তি শান্তি।

রেজা আকাশ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লিখেন, ঝড়ের রাতে প্রাণের ক্যাম্পাসে আম কুড়াতে সুখ। সাথে তিনি মহসিন হল থেকে কুড়িয়ে পাওয়া আমের ছবিও দেন।

Bristi

আবুল কাশেম নামে একজন লিখেন, যতো গর্জন, ততো বর্ষণ নেই। তবু স্বস্তি, ভুলে যাওনি তুমি….. স্বাগতম হে বৃষ্টি।

যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার শিপন হাবিব লিখেন, আহ্ কি শান্তি।

খন্দকার হানিফ রাজা নামে আরেক সংবাদকর্মী লিখেন, অবশেষে প্রশান্তির বৃষ্টি। যার জন্য অপেক্ষা করছিলো কোটি কোটি মানুষ। আপাতত গরমের হাঁসফাঁস শেষ।

এমইউ/এসএইচএস/এবিএস