CMP-comissioner-handedover-

নোয়াখালী বাড়ি কথাটা শুনলে অনেকের একটু আড় চোখে তাকায়। এমন অভিজ্ঞতার শেষ নেয়।

 কিন্তু নোয়াখালীর মানুষ সম্পর্কে না জেনে মানুষ এমন খারাপ ধারনা পোষন করছে। নোয়াখালীর মানুষ পরিশ্রমী, মেধাবী। নোয়াখালীর মানুষের মহানুভবতার কথা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। অতিথিদের আপ্যায়নে এরা কতটা অমায়িক তা যারা দেখেনি তাদের বলে বুঝানো সম্ভবনা।

চলুন জেনে নেওয়া যাক নোয়াখালীর মানুষের কৃতকর্মের একটি উদাহরন।
সিএমপির পুলিশ কনস্টেবল মো.মনির আহম্মদ। প্রতিদিনের মতই সকালে ডিউটিতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে বেশ কিছু মানুষের সমাগম আর চিৎকার চেঁচামেচি দেখে এগিয়ে গেলেন। গিয়ে দেখলেন এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। ভয়ানক নোংরা আর ময়লায় পরিনত হওয়া একটি খালে এক স্কুলগামী ছেলে ডুবে যাচ্ছে। পড়ায় ডুবে যাওয়া ছেলেটি বাচার জন্য দু হাত উপরে তুলে রেখেছে সাহায্যের আশায়। উপস্থিত সবাই সেই দৃশ্য দেখে যাচ্ছে, কিন্তু অমন ময়লা আর বিপজ্জনক খাল থেকে তাকে উদ্ধার করার সাহস পায়নি কেউ।

ছেলেটিকে ডুবে যেতে দেখে অন্য অনেকের মত চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি মনির আহমদ। জীবনের পরোয়া না করে লাফিয়ে পড়েছেন নর্দমার ভাগাড়ে, তুলে এনেছেন তাকে সুস্থ অবস্থাতেই। ছেলেটিকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেও মরতে বসেছিলেন।

কিন্তু এমন কাজে উপরওয়ালা মাঝে মাঝে সাহায্যের জন্য নিজের হাতটিও বাড়িয়ে দেন। তাই মনির ভাইয়ের বেঁচে যাওয়া।

খবর পড়ে জানতে পারলাম মনির ভাই আমার নোয়াখালীতে। এমন একটি মহৎ কাজের জন্য মনির ভাইকে অভিনন্দিত করতে ইচ্ছে করছে।

মনির ভাই, আপনি আবারো প্রমান করে দিলেন আমরা খারাপ নাকি মানবিক।

নোয়াখাইল্লা বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা আমরাই এমন বেশ কিছু নজির সৃষ্টি করে যেতে পারি।