file (1)

হাতিয়া প্রতিনিধি,
পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে শিক্ষক কতৃক পরীক্ষার্থীদের সাথে অশালিন আচারণের অভিযোগে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের ‘হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ’এ ভাঙচুর করেছে পরীক্ষার্থীরা। এসময় তারা সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে আফাজিয়া এলাকার হাতিয়া ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের ৫১০জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কয়েকজন পরীক্ষার্থী (ছাত্র) শিক্ষকদের পিছন থেকে ধাওয়া করে। পরে শিক্ষকরা তাদের অফিস কক্ষে গিয়ে গেইটে তালা লাগিয়ে দিয়ে ভিতরে অবস্থান নেন। এসময় ওই পরীক্ষার্থীরা কলেজ আঙিনায় থাকা শিক্ষকদের মোটরসাইকেল, কয়েকটি কক্ষের টেবিল ও কাচ ভাঙচুর করে। পরে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা হাতিয়া প্রধান সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কয়েকজন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষকরা অকারণে তাদের সাথে অশালিন আচারণ করে, তারা প্রসাবের জন্য বাহিরে যেতে চাইলেও শিক্ষকরা তাদের অনেককেই যেতে দেয়নি, আবার যাদের যেতে দেওয়া হয়েছে তাদেরকে টয়লেটের দরজা খুলে রাখতে হয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধক্ষ্য মো. শরফুদ্দিন জানান, দ্বীপ কলেজের পরীক্ষার্থীরা ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষায় নকল করার সুযোগ না পাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে কলেজে হামলা চালিয়ে শিক্ষকদের ৫টি মোটরসাইকেল, দু’টি কক্ষের টেবিল, প্রশাসনিক ভবনের জানালার কাচ, নোটিশ বোর্ড ও একটি টিউবওয়েল ভাঙচুর করেছে।
হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের অধক্ষ্য দেব্রত দাস গুপ্ত জানান, পরীক্ষা শেষে তার কলেজের পরীক্ষার্থীরা হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকদের সাথে জামেলায় জড়িয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে দু’টি কলেজের দূরর্ত্ব প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার হওয়ায় তিনি ওই কলেজে গিয়ে খবর নিতে পারেন নি।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ মহি উদ্দিন জানান, ঘটনায় পরীক্ষার্থী ও কলেজ কৃতপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। যদি কোন শিক্ষক বা ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হবে বলেও জানান তিনি।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিছুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কলেজে ভাঙচুরের ঘটনায় লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।