NK-269

নিজস্ব প্রতিনিধি:

নোয়াখালীতে   শিলাবৃষ্টিতে ৪০ একর জমির তরমুজ নষ্ট হওয়ায় প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষক মজিবুল হক সকালে লোকজন নিয়ে তরমুজ কাটতে এসে দেখে জমিনে সব তরমুজ নষ্ট হওয়ার দৃশ্য দেখে সাথে সাথে কৃষক মজিবল হক হার্টষ্ট্রোক করেন বর্তমানে নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শিলাবৃষ্টির কারণে ৪০ একর জমির সম্পূর্ণ তরমুজ ফেটে নষ্ট হয়ে যায় যা সম্পূর্ন বিক্রয় ও খাওয়া অযোগ্য। কৃষকদের দাবি প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যার অর্ধেক টাকা বিভিন্ন ব্যাংক ও সংস্থা থেকে ঋণ নেয়া।

ক্ষতিগ্রস্থ ৫ জন কৃষক হচ্ছেন নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব চর উরিয়া গ্রামের  আজিজুল হকের পুত্র মোঃ রাসেল (৩২), সুবর্ণচর উপজেলার দক্ষিন ব্যাগ্গা গ্রামের আজিজুল হকের পুত্র আবুল কাশেম (৩৫) একই গ্রামের মৃত সেকান্তর মিয়ার পুত্র মজিবুল হক (৫০), পশ্চিম চরজব্বর গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র নুর উদ্দিন একই গ্রামের মুরাদ মিয়ার পুত্র আবদুল মতিন তারা জানান নোয়াখালী মোজার ২১৮৫ দাগের ২৫ একর ও ২১৮৭ দাগের ১৫ একর সহ মোট ৪০ একর জমি তরমুজ চাষ করার  উদ্দ্যেশে বর্গা চাষ করেন এই চাষিরা।

চাষাবাদের শুরুতে চট্রগ্রামের ১ তরমুজ ব্যবসায়ী খোকন ব্যাপারীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাদন নিয়েছেন এবং নুর উদ্দিন ওয়ান ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ৮৮ হাজার টাকা, একই ব্যাংক থেকে আবুল কাশেম ৮৮ হাজার টাকার ঋণ নেয় এবং ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা ব্র্যাক সমিতি থেকে রাসেল নিয়েছেন ২ লক্ষ টাকা, রাসেলের পিতা কৃষি ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ৪০ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণ  প্রতিষ্ঠান স্থানীয় ব্যাক্তি বর্গ সহ মোট ৩০ লক্ষ টাকা  নিয়ে ৪০ একর জমিতে তরমুজ চাষাবাদ করেন ৫ জন কৃষক।

তারা প্রধানমন্ত্রী,  কৃষিমন্ত্রনালয় ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ সকল মহলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে কান্নাজড়িত কন্ঠে আকুল আবেদন জানান অন্যথায় ঋণ পরিষদ না করতে পারলে  পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। এইছাড়াও কবির হাট, সুবর্ণচর ও হাতিয়ায় গত রাতের শিলাবৃষ্টিতে কোটি কোটি টাকার তরমুজের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।