khun-1-newsnext

নোয়াখালীর পাতা ডেস্ক:

নোয়াখালীর আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি দেখা দিয়েছে। বেড়েছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা। একের পর এক ঘটে যাচ্ছে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। সন্ত্রাসীদের উপদ্রবে এক সময়ের শান্তির জনপদ নোয়াখালী দিন দিন অশান্ত হয়ে উঠছে। গত এক মাসে সংঘাত ও গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৬ জন।

জানা গেছে, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে কিছু সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। যা নোয়াখালীর আইনশৃংখলার ইতিহাসে অতীতের সকল রেডর্ক ভঙ্গ করেছে। এদিকে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া চলছে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন প্রার্থীদের পক্ষে ভাড়ায় খাটছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার ও সন্ত্রাস নির্মূলে দ্রুত অভিযান চালানোর দাবী জানিয়েছে সচেতন মহল। তবে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার বলছেন সন্ত্রাস নির্মূলে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ রাত সাড়ে ১১ টায় বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের কামাল চেয়ারম্যানের পুলের কাছে ফারুক(২৭) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসী সুমন বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় ফারুকের ভাই মিলন সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে আহত হন। নিহত ফারুক শরীফপুর ইউনিয়নের ব্যাপারি বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে। তিনি মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করতেন।

একই দিন সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের খুরশিদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে নিপু(১৫) নামের এক কিশোরকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। নিহত নিপু ওই ইউনিয়নের চাঁদকাশিমপুর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে।

গত ২৩ মার্চ সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের নোয়াখালী পুরাতন কলেজের পাশে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ফজলে রাব্বি রাজিব(২৩), ওয়াসিম (২২) ও ইয়াসিন (২৫) নামের তিন ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

গত ১৪ মার্চ সোনাইমুড়ীতে ইসলাম বিরোধী কর্মকা- বন্ধের দাবীতে মিছিলে বাধা দেওয়ায় হিজবুত তাওহীদের সদস্য সোলেমান খোকন(৩৫), ইব্রাহীম রুবেল(৩০), আবদুস সোবহানকে(৬০) গলা কেটে হত্যার পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। হিজবুত তাওহীদের পাল্টা হামলায় স্থানীয় খোদখাস্তা গ্রামের মৃত আজহার আলীর ছেলে মজিবুল হক (৫০) নিহত হয়।

জানা গেছে, গত ১২ মার্চ রাতে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় জয়পুরহাট সদর উপজেলার বিশ্বাস পাড়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক(২২), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাঠবাড়ি গ্রামের সাইফুল ইসলাম সুজন(২২), চাপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আকবর আলী(২৪), সুমন (২২) ও দিনাজপুরের চিরির বন্দর থানার বড়ব গ্রামের আরিফুর রহমান(২২) নামের ৪ ডাকাত নিহত হয়। এসময় আহত হয় পুলিশ কনস্টেবল কামরুল হাসান, জাহাঙ্গীর আলম ও ফজলুল হকসহ দুই ডাকাত। গত ৯ মার্চ সকালে বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কোটরামহব্বতপুর গ্রামের খায়ের বাড়িতে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাই হাবিব উল্ল্যাহর হাতে খুন হন বড় ভাই মমিন উল্যাহ(৫২)।

গত ৩ মার্চ সকালে চাটখিল উপজেলার পরকোর্ট ইউনিয়নের চোচালিয়া গ্রামের পাটোওয়ারী বাড়ির সামনে থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে ৬০ বছর বয়সি এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় নোয়াখালীর সার্বিক আইনশৃংখলার বিষয়ে পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ বলেন, আইনশৃংখলার উন্নয়নে পুলিশ প্রশাসন সব সময় সজাগ। চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি আমরা। আশা করি সহসাই আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।নো

নোয়াখালীর আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি দেখা দিয়েছে। বেড়েছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা। একের পর এক ঘটে যাচ্ছে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। সন্ত্রাসীদের উপদ্রবে এক সময়ের শান্তির জনপদ নোয়াখালী দিন দিন অশান্ত হয়ে উঠছে। গত এক মাসে সংঘাত ও গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৬ জন।

জানা গেছে, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে কিছু সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। যা নোয়াখালীর আইনশৃংখলার ইতিহাসে অতীতের সকল রেডর্ক ভঙ্গ করেছে। এদিকে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া চলছে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন প্রার্থীদের পক্ষে ভাড়ায় খাটছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার ও সন্ত্রাস নির্মূলে দ্রুত অভিযান চালানোর দাবী জানিয়েছে সচেতন মহল। তবে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার বলছেন সন্ত্রাস নির্মূলে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ রাত সাড়ে ১১ টায় বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের কামাল চেয়ারম্যানের পুলের কাছে ফারুক(২৭) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসী সুমন বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় ফারুকের ভাই মিলন সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে আহত হন। নিহত ফারুক শরীফপুর ইউনিয়নের ব্যাপারি বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে। তিনি মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করতেন।

একই দিন সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের খুরশিদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে নিপু(১৫) নামের এক কিশোরকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। নিহত নিপু ওই ইউনিয়নের চাঁদকাশিমপুর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে।

গত ২৩ মার্চ সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের নোয়াখালী পুরাতন কলেজের পাশে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ফজলে রাব্বি রাজিব(২৩), ওয়াসিম (২২) ও ইয়াসিন (২৫) নামের তিন ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

গত ১৪ মার্চ সোনাইমুড়ীতে ইসলাম বিরোধী কর্মকা- বন্ধের দাবীতে মিছিলে বাধা দেওয়ায় হিজবুত তাওহীদের সদস্য সোলেমান খোকন(৩৫), ইব্রাহীম রুবেল(৩০), আবদুস সোবহানকে(৬০) গলা কেটে হত্যার পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। হিজবুত তাওহীদের পাল্টা হামলায় স্থানীয় খোদখাস্তা গ্রামের মৃত আজহার আলীর ছেলে মজিবুল হক (৫০) নিহত হয়।

জানা গেছে, গত ১২ মার্চ রাতে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় জয়পুরহাট সদর উপজেলার বিশ্বাস পাড়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক(২২), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাঠবাড়ি গ্রামের সাইফুল ইসলাম সুজন(২২), চাপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আকবর আলী(২৪), সুমন (২২) ও দিনাজপুরের চিরির বন্দর থানার বড়ব গ্রামের আরিফুর রহমান(২২) নামের ৪ ডাকাত নিহত হয়। এসময় আহত হয় পুলিশ কনস্টেবল কামরুল হাসান, জাহাঙ্গীর আলম ও ফজলুল হকসহ দুই ডাকাত। গত ৯ মার্চ সকালে বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কোটরামহব্বতপুর গ্রামের খায়ের বাড়িতে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাই হাবিব উল্ল্যাহর হাতে খুন হন বড় ভাই মমিন উল্যাহ(৫২)।

গত ৩ মার্চ সকালে চাটখিল উপজেলার পরকোর্ট ইউনিয়নের চোচালিয়া গ্রামের পাটোওয়ারী বাড়ির সামনে থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে ৬০ বছর বয়সি এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় নোয়াখালীর সার্বিক আইনশৃংখলার বিষয়ে পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ বলেন, আইনশৃংখলার উন্নয়নে পুলিশ প্রশাসন সব সময় সজাগ। চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি আমরা। আশা করি সহসাই আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।