2016_03_30_22_00_00_LQrcqIb538rkvWFV3s7kxOVC7fdJ5h_original

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডিই পেরোননি কিন্তু ইতিমধ্যে ২০টি মহাকাব্য লিখে ফেলেছেন। লিখেছেন অসংখ্য কবিতা। রাজ্যে এখন রীতিমতো সেলিব্রেটি। এবার জাতীয় সেলিব্রেটিতে পরিণত হলেন- পেলেন পদ্মশ্রী পদক।

অসাধারণ এই ব্যক্তির নাম হলধর নাগ। জন্মেছেন ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে। সম্প্রতি তার জীবনী নিয়ে গবেষণা করছেন পাঁচ শিক্ষার্থ। অথচ তার পড়াশুনা মাত্র তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত।

৬৬ বছর বয়সী হলধর নাগ কবিতা লেখেন স্থানীয় কোসলি ভাষায়। তার লেখার সংকলন বের করার উদ্যোগ নিয়েছে সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্তও করা হয়েছে।

হলধরের এক ঘনিষ্টজন জানান, শুধু কবিতা লেখাই নয়, আজ পর্যন্ত যা যা তিনি লিখেছেন, সবই তার মুখস্থ। শুধু কবিতার নাম বা বিষয় বলে দিলেই গড়গড় করে আবৃত্তি করতে পারেন। তার জনপ্রিয়তা এখন এতটাই বেশি যে, প্রতিদিন তিন চারটি করে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয় তাকে।

এতো জনপ্রিয়তা থাকলেও অত্যন্ত সহজ সরল জীবনযাপন করেন হলধর। কখনও পায়ে জুতা পরেন না। পরনে খাটো সাদা ধুতি।

১৯৫০ সালে উড়িষ্যার বারগড় জেলায় এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম হলধর নাগের। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবার মৃত্যু হয়। তখন তার বয়স মাত্র ১০। বিধবা মা সংসার চালাতে পারছিলেন না। তাই স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকানে কাজ নেন হলধর। দু’বছর পর গ্রামেরই এক মোড়লের চোখে পড়েন তিনি। তিনি তাকে একটি হাইস্কুলে রান্নার কাজ দেন। এরপর সেখানেই একটি স্টেশনারি ও খাবারের দোকান খোলেন হলধর।

হলধর প্রথম কবিতা লেখেন ১৯৯০ সালে। ‘ধব বরগাছ’ অর্থাৎ ‘বৃদ্ধ বট গাছ’ শীর্ষক কবিতাটি স্থানীয় ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। এরপরই কবিতা লেখায় উত্সাহ পান তিনি। ব্যাপক প্রশংসাও পান।

হলধরে লেখার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি কবিতায় সাধারণ মানুষের ছবিই ফুটে তোলেন। ফলে তার লেখার সঙ্গে সাধারণ মানুষ সহজেই একটা সংযোগ খুঁজে পায়।