sonaimuri photo

 

বেলাল হোছাইন ভুঁইয়া:
সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের উদাসীনতায় বিকল্প রাস্তা না করে পুরাতন ব্রিজ ভেঙ্গে মেরামত করতে গিয়ে জনদূর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌছেছে। প্রতিদিনই দূর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ, বেকার হয়ে পড়েছে শত শত সিএনজি অটো রিকসা চালক। যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় দেওটি ইউপির বিভিন্ন বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামও অধিক হারে বেড়ে গেছে।

এ সব দেখার যেন কেউ নেই! স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার (সাবেক সোনাইমুড়ী- কড়িহাটি সড়ক) বর্তমানে বীরশ্রেষ্ঠশহীদ রুহুল আমিন সড়কের মধ্যবর্তী গজারিয়া ব্রিজটি ঝরাজীর্ণ হওয়ায় উপজেলার এলজিইডি পূন:মেরামতের জন্য দরপত্র আহ্বান করায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে বিকল্প রাস্তা না করে ব্রিজ ভাঙ্গা শুরু করে। কাজও চলছে শম্বুক গতিতে, এতে করে রাতে চলাচলকারী অনেক যানবাহন প্রথম দিনেই দূর্ঘটনা কবলিত হয়। অনেক পথচারী ভাঙ্গা ব্রিজ দিয়ে হাটতে গিয়ে রডের ফাকে পা আটকে আহত হয়েছে।

যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছে শতাধিক সিএনজি চালকসহ রিকসা-পিকভ্যান, মালবাহী ট্রাকসহ অসংখ্য যানবাহন শ্রমিক। যার ফলে এ রাস্তার সংযোগস্থল শিবপুর বাজার, নান্দিয়াপাড়া, দেওটি বাজার, কড়িহাটি বাজারসহ আসপাশের অনেক মার্কেটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী মূল্য এখন ঐ এলাকার মানুষের কাছে আকাশচুম্মী। ভ্ক্তুভোগী ও এলাকার অনেকেই এ জন্য উপজেলা প্রকৌশলী অফিস তথা প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন। তাদের দাবী অনতিবিলম্বে বিকল্প রাস্তা চালু করে জনদূর্ভোগ, দূর্ঘটনা ও দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ কল্পে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিকল্প রাস্তা না করে ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জরুরী ভিত্তিতে ব্রিজ মেরামতের ব্যপারে সন্তোষ প্রকাশ না করে, বিকল্প রাস্তার বিষয়ে কথা বলা বেমানান।