IMG_0515

সোনাইমুড়ী প্রতিনিধি,
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের পোরকরা গ্রামে হেযবুত তওহীদ ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত মজিবুল হক মজু মিয়া (৪১) এর মৃতদেহ দাফনের ১০দিন পর আদালতের নির্দেশে উত্তোলন করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মাহমুদ’এর উপস্থিতিতে মৃতদেহটি উত্তোলন করা হয়। নিহত মজিবুল হক মজু মিয়া চাষীরহাট ইউনিয়নের খোতখাস্তা গ্রামের মৃত আজহার আলীর ছেলে।

সুধারাম মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টমাস বড়–য়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ওই মামলায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গত ১৮ মার্চ নিহত মজিবুল হক মজু মিয়ার লাশ উত্তেলণের নির্দেশ প্রদান করেন।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মাহমুদ, সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়দেব কুমার চৌধুরী, এসআই মনোয়ার হোসেন’এর উপস্থিতিতে মৃতদেহটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, হেযবুত তওহীদের কর্মীদের পোরকরা গ্রামে ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে গত ১৪ মার্চ সোমবার পোরকরা গ্রামের লোকজন হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপি দিয়ে ফেরার পথে নূরুল হক মেম্বারের বাড়ির সামনে থেকে দুই যুবককে আটক করে বাড়িতে নিয়ে আটক করে রাখে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা। পরে দুপুরে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শতশত গ্রামবাসী নুরুল হক মেম্বারের বাড়িতে জড়ো হয়। তখন হেযবুত তওহীদের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় বিচ্ছিন্নভাবে পুরো এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হেযবুত তওহীদের দুই কর্মীকে আটক করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে তাদের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় নিজের বাচ্চাকে নিয়ে স্কুল থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন পথচারী মজিবুল হক মজু মিয়া।