‘চোর বানানোর বিজ্ঞাপন’ দিয়ে সাইফুরস মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কোচিং সেন্টারটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাট এবং একটি শব্দের বানান ভুলে ২ কোটি ডলার রক্ষা পাওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশের পর একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেয় সাইফুরস।

ওই বিজ্ঞাপনের শিরোনামে বলা হয়, “English-এর ভুলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৬০ কোটি টাকা হ্যাকারদের হাতছাড়া!”

বিবিসিকে উদ্ধৃত করে ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “হ্যাকিংকৃত ডলার শ্রীলংকাতে স্থানান্তরের সময় `Foundation’ শব্দকে `Fandation’ লেখাতে বিদেশি Deutsche ব্যাংকের সন্দেহ হয়। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকেকে জানালে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এই ২০ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর বন্ধ করে দেয়।”

“একইভাবে ইংরেজিতে দুর্বলতার কারণে… MBA, অফিসার, Lawyer (এমনকি দক্ষ হ্যাকার!) প্রভৃতি হতে হলে reading, রাইটিং, Speaking, লিসেনিং ও spelling সবকিছুতেই ভালো হওয়া জরুরি!”

এইচএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে বুধবার সচিবালয়ে এক সভার শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী এই প্রসঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, “সাইফুরস নামে একটা বিখ্যাত কোচিং সেন্টার আছে। এই কোচিং সেন্টার একটা বিজ্ঞাপন দিয়েছে। সেই বিজ্ঞাপনে তারা বলেছে ভালো ইংরেজি না জানতে পারলে ভালো লেখাপড়া করতে পারবে না … এমনকি ভালো হ্যাকারও হতে পারবে না।”

“দেখেন, হ্যাকার হওয়ার জন্যও তার কাছে গিয়ে পড়তে হবে! বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, এটা অবশ্যই বে-আইনি, (এ ধরনের বিজ্ঞাপন) দিতে পারে না। আমরা তার (সাইফুরস) বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

সাইফুরস এই বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, “তারা ভালো চোর বানাতে চাইছে। এ রকম লোকের বিরুদ্ধে যদি আমরা সোচ্চার না হই তাহলে আমরা কী করে থাকব সমাজে?”

কোচিং সেন্টারগুলোকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, “এরা এই রকম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এদের বিরুদ্ধে কখনও আমরা সহনশীল হতে পারি না। তারা আমাদের ছেলেমেয়েদের প্রলোভন দেখাচ্ছেন ভালো ইংরেজি শিখলে ভালো চোর হতে পারবা, ভালো করে হ্যাকিং করতে পারবা।”

“চুরি শেখানোর বিজ্ঞাপন দিয়ে বলেছে ভালো চোর বানাবে,” বলেন ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী।