IMG_0515

সোনাইমুড়ীর চাষীরহাটে হিযবুত তাওহীদ ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ২টি মামলায় গ্রেফতার আতংকে পুরুষরা এলাকাছাড়া হয়ে গেছে। বিগত ১৪ মার্চ ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্বারকলিপি দেয়াকে কেন্দ্র করে হিজবুত তাওহীদ ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ও উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ হিজবুত তওহীদের ৫০জনের বেশি নেতাকর্মীকে আটক করেছে। পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে কয়েকজন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

বিক্ষুব্ধ জনতা হিজবুত তাওহীদ নেতা পোরকরা গ্রামের নুরুল হক মেম্বার ও তার অপর সহযোগী সোবহান মিয়ার ঘরে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ সাইদ বাদী হয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির হানিফ মোল্লাকে ১ নং বিবাদী করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫ হাজার গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। অপরদিকে হিযবুত তাওহীদের সদস্য ও পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানায় চরপাতা গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী মোসাঃ হাজেরা আক্তার বাদী হয়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ আমলী আদালতে তার স্বামীকে হত্যার অভিযোগে সোনাইমুড়ীর পোরকরা গ্রামের মৃত ছালামত উল্যার ছেলে মাওলানা নুরুল আলমকে ১ নং বিবাদী করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার পোরকরা গ্রামে হিযবুত তাওহীদের লোকজন বসবাস করে ইসলাম নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বিগত ২০০৯ সালে হিযবুত তাওহীদের লোকজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে এ নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। বিগত ২৪ ফেব্র“য়ারি ২০১৬ ইং তারিখে হিযবুত তাওহীদের লোকজন পোরকরা গ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে কর্মী সমাবেশ করে। এ সমাবেশে তাদের নেতা সেলিমসহ অন্যান্যরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে কুটোক্তি করলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

এ ঘটনায় ঐ ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও এলাকাবাসী তাদের ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে গত ১৪ মার্চ সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্বারকলিপি দিয়ে যাওয়ার পথে চাষিরহাট বাজারে স্থানীয় হিযবুত তাওহীদের লোকজন বহিরাগত তাদের অনুস্বারীদের এনে অতর্কিত হামলা চালায়। এ বিষয়ে পোরকরা গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইউনুছ মাষ্টার জানান, ২টি মামলায় পোরকরা, রথি, নাওতোলা, রামপুর, শাহারপাড়, খোদগাস্তা, চাষিরহাট, গোবিন্দপুর, কাঠালী ও জাহানাবাদ গ্রামের নিরীহ লোকজনকে বিবাদী করায় তারা গ্রেপ্তার আতংকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে শুধু জনসাধারণ নয়, স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরাও রয়েছে। এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার ওসি কাজী হানিফুল ইসলাম বলেন, মামলা হয়েছে। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।