file (2)

ভোটের আর মাত্র দুই দিন বাকী। ২০ মার্চ রোববার ভোটগ্রহণ। তাই প্রার্থীরা এখন ব্যস্ত শেষ সময়ের প্রচার-প্রচারণায়। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে উঠান বৈঠক, কর্মীর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট দানের ওয়াদা আদায় করে নিচ্ছেন। আর ভোটারাও চিন্তা ভাবনা করে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের ভোট দিবেন।

সরেজমিনে নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভায় গিয়ে দেখা গেছে, গোটা পৌর এলাকায় নির্বাচনী আমেজ। চারদিকে পোস্টার ছেয়ে গেছে। মূলত কবিরহাট পৌরসভা ভিআইপি এলাকা হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহম্মদের নিবার্চনী এলাকা তথা বর্তমান সেনা প্রধান ও ঢাকা উত্তর মেয়র আনিসুল হকের জন্মস্থান।

কবিরহাট প্রধান দু’রাজনৈতিক দলের দুইজন মেয়র প্রার্থী ছাড়াসহ ৪০জন কাউন্সিলর ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন।  প্রায় ১৫ কিলোমিটার আয়তন ও ৪০ হাজার জনগণ নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১ ডিসেম্বর গঠিত হয় কবিরহাট পৌরসভায় । এ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটার ও প্রার্থীদের মাঝে রয়েছে নানা হিসেব নিকাশ। আগামী ২০ মার্চ ৯টি কেন্দ্রে ৩৯টি বুথে তের হাজার ৩০০ সাতানব্বই জন ভোটার ( পুরুষ ভোটার ৬,৬৭৬ এবং নারী ভোটার ৬,৭২১ জন) তাদের মেয়র ও কাউন্সিলর নিবাচিত করবেন।

মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান মেয়র ও কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান। তিনি আশবাদী পৌর এলাকায় বিগত ৫ বছরে উন্নয়নের বেশ অগ্রগতি হওয়াতে তাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ভোটাররা অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য ভোট দিয়ে পুনরায় মেয়র পদে তাকে নির্বাচিত করবেন।

অপরদিকে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে ভোট করছেন কবিরহাট পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু। তিনি অভিযোগ করে জানান, বিগত সময়ে পৌর এলাকার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। যারাই মেয়র হয়েছে তারা নিজেদের পকেট ভারী করেছেন। তিনি সর্ব্বোচ বিদ্যা অর্জন করার পর চাকরি না করে এলাকায় থেকে মানুষের সুখে দুঃখে ও উন্নয়নে কাজ করেছেন। তিনি আশাবাদী তাকে ভোটরার কেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে মেয়র নির্বাচিত করবেন।

তবে ভোটাররা বলছেন, পৌরসভায় উন্নয়নের সমতা রক্ষা হয়নি। বিশেষ করে পশ্চিমাংশে উন্নয়ন হলেও পূর্বাংশে হয়নি। এবার  তারা সে সকল বিষয় মাথায় রেখে সৎ ও শিক্ষিত ও যোগ্যতা বিবেচনা করে ভোট দিবেন।

নোয়াখালী জেলা সিনিয়র জেলা নির্বাচন ও পৌরসভা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মনির হোনের জাগো নিউজকে জানান, এ পর্যন্ত কবিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি আশা করেন, রোববার ২০ মার্চ অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্ততি নেয়া হয়েছে।