নোয়াখালীর পাতা ডেস্ক::
নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমির হোসেন ও সুবর্ণ সুলতানার খরিদীয় ও ভোগদখলীয় সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি সংঘবদ্ধচক্র।

ভূমির মালিক আমির ও সুবর্ণ সুলতানা অভিযোগ করেন, তারা এওজবালিয়ার আজিজুল হক, আবদুল হক ও আবদুল জলিলের মালিকীয় সম্পত্তির কিয়দাংশ খরিদ করেন। তারা যথারীতি ওই সম্পত্তিতে নিজেদের মালিকানার অনুকুলে নামজারি জমা খারিজ খতিয়ানও প্রাপ্ত হন।

আদালতে দাখিলীয় ফিরিস্তিমতে জানা যায়, একপয়ার্য়ে, ওই ভূমিতে আবুল কালাম আজাদ, আফসারা বেগমসহ সংঘবদ্ধরা বাদী হয়ে একটি হয়রানি করার হীনউদ্দেশ্যে নোয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজআদালতে ৭১/২০১২ নম্বর দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। সূত্র জানায়, পরবর্তীতে ওই মামলায় গত ৮ এপ্রিল ২০১২ সালে আবুল কালাম আজাদ ও আফসারা বেগমের পক্ষে তঞ্চকতাপূর্ণ রায় ও ডিক্রী প্রচারিত হয়।

পরবর্তীতে, আমির হোসেন ও সুবর্ণ সুলতানা সংশ্লিষ্ট রায়ের বিরুদ্ধে ১৭৩/২০১৩ নম্বর ডিক্রী রদের মামলা দায়ের করলে আদালত আবুল কালাম আজাদের ভুয়া রায় ডিক্রীর যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই সাথে আমির হোসেন অভিযোগ করেন, বর্তমানে বিচারাধীন আপিল মামলায় আদালতের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও তা অমান্য করে আবুল কালাম আজাদসহ সংঘবদ্ধরা অন্যায় ও জোরপূর্বক ওই সম্পত্তিতে নিজেদের মনগড়া কর্মকান্ড প্রসারিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

আমির হোসেন অভিযোগ করেন, বিগত জরিপেও ওই ভূমি তার নামে যথাযথভাবে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে, আবুল কালাম আজাদ ও আফসারা বেগম সদর উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনারকে ভুল বুঝিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই ভূমিতে খতিয়ান স”জনের অপকৌশল ও হীনচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট ভূমিতে যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত না রাখলে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী তথা যে কোন সময়ে মারাত্বক সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

তবে অভিযুক্ত বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা এক সময় বহাল থাকলে বর্তমানে তা আর নেই। তবে, নোয়াখালীর একজন সরকারী কৌঁসূলী বলেন, যে কোন দেওয়ানী আপিলের পূর্ণাঙ্গ বিচার না হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখা বাঞ্চনীয়।