Snapshot - 2

নিজস্ব প্রতিনিধি,
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে হেযবুত তাওহিদের কর্মী ইব্রাহীম খলিল রুবেল নিহতের ঘটনায় হেযবুতের পক্ষ থেকে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে নিহতের স্ত্রী মোসাম্মদ হাজেরা আক্তার বাদি হয়ে নোয়াখালী আমলি আদালত-৩ (বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী)’ এ মামলাটি দায়ের করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলর চাষীরহাট ইউনিয়নের পোরকরা গ্রামে গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষে হেযবুত তাওহিদের কর্মী ও লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার চরপাটা গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম খলিল রুবেল এবং চাঁদপুর জেলার কচুয়ার সোলায়মান খোকন নিহত হয়।

হত্যা ও হামলার এই ঘটনায় বুধবার বিকেলে হেযবুত তাওহিদের পক্ষ থেকে রুবেলের স্ত্রী মোসাম্মদ হাজেরা আক্তার বাদি হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা হানিফ মোল্লা, মাওলানা নূরুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা জহির, ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি শাহাদাত হোসেন এবং সফিক উল্ল্যা মুন্সি, বেলায়েত হোসেন, মহি উদ্দিন বেচু, ঈমন, বশির উল্ল্যা, আমিনুল হক, হিরণ, আলা উদ্দিন, আমিনুল হক, রবিউল, হাছান এবং আব্দুর রহিম’সহ অজ্ঞাত নামা ৪০/৫০ জন গ্রামবাসীকে আসামী করে নোয়াখালী আমলি আদালত-৩’এ একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসফিকুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে মামলাটি রজু (এফআইআর) করার জন্য সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফুল ইসলামকে নির্দেশ দেন।

এরআগে মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু ছায়েদ বাদী হয়ে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩২৩, ৩২৪, ৩২, ৩৩, ৫৩, ১৮৬, ৩০৭ (হত্যার চেষ্টা), ৩০২ (হত্যা), ৪৩৬, ৪২৭, ২৯৫, ২০১ এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় চাষীরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মো. হানিফ মোল্লা’কে প্রধান আসামী ও অজ্ঞাত নামা কয়েক হাজার ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।