Snapshot - 2

নিজস্ব প্রতিনিধি,

সোনাইমুড়ী: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নে হেযবুত তাওহিদের নেতাকর্মীদের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।

বুধবার দুপুরে সহকারি পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সোনাইমুড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু ছায়েদ বাদী হয়ে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩২৩, ৩২৪, ৩২, ৩৩, ৫৩, ১৮৬, ৩০৭ (হত্যার চেষ্টা), ৩০২ (হত্যা), ৪৩৬, ৪২৭, ২৯৫, ২০১ এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় চাষীরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মো. হানিফ মোল্লা’কে প্রধান আসামী ও অজ্ঞাত নামা কয়েক হাজার ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলর চাষীরহাট ইউনিয়নের পোরকরা গ্রামের স্থানীয় লোকজন হেযবুত তাওহিদের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও সহকারি কশিনার ভূমি বরাবর স্মারক লিপি দেয়। স্মারক লিপি দিয়ে ফেরার পথে নূরুল হক মেম্বারের বাড়ির সামনে থেকে দুই যুবককে আটক করে বাড়ীতে নিয়ে আটক করে রাখে হেযবুত তাওহিদের সদস্যরা।

পরে দুপুরে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শতশত গ্রামবাসী নুরুল হক মেম্বারের বাড়ীতে জড়ো হলে হেযবুত তাওহিদের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় বিচ্ছিন্ন ভাবে পুরো এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী হেযবুত তাওহিদের দুই কর্মীকে আটক করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করে তাদের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গুলি, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এসময় ছেলেকে নিয়ে স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মজিবুল হক মজু মিয়া। সংঘর্ষ চলাকালে হেযবুত তাওহিদের সমর্থকদের ৫ ঘর ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত শতাধিক গ্রামবাসী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ হেযবুত তাওহিদের ১১৪ নেতাকর্মীকে আটক করে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের মধ্যে ১১১ জনকে কারাগারে ও ৩ জনকে পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জিকেআরটি/নিজস্ব প্রতিনিধি/১৬ মার্চ ২০১৬