IMG_0497

সোনাইমুড়ী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নে হিজবুত তাওহীদের সদস্যদের সাথে গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে হিজবুত তাওহীদ ২কর্মী নিহত ও ৫ পুলিশ সদস্য’সহ অন্তত শতাধিক আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে।
সোমবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পোরকরা গ্রামে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত হিজবুত তাওহীদের সদস্যরা হচ্ছেন- চাঁদপুর জেলার কচুয়া এলাকার খোকন (৩২) ও মো. আমীর (২৮)। গুলিবিদ্ধ পুলিশ সদস্য আব্দুর রহিম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হিজবুত তাওহীদের কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। গত ২০০৯ সালে স্থানীয় লোকজন হিজবুহ তাওহীদের সদস্যদের ওই এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু পুনরায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হিজবুত তাওহীদ চাষীরহাটে সমাবেশ করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় এবং একটি মসজিদ নির্মাণ করে। এতে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত কয়েক দিন ধরে ওই সংগঠনের বহিরাগত কর্মীদের এলাকায় আনাগোনা বেড়ে যায়।

IMG_0515
সোমবার দুপুরে স্থানীয় গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এসব ব্যপার নিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। পরে এলাকাবাসী একটি মিছিল নিয়ে গ্রামে ফেরার পথে পোরকরা এলাকায় নূরুল হক মেম্বারের বাড়ী এলাকায় পৌঁছলে হিজবুত তাওহীদের সদস্যরা ওই বাড়ী থেকে বের হয়ে গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে হিজবুত তাওহীদের দুই কর্মী নিহত ও পুলিশ সদস্যসহ অন্তত শতাধিক গ্রামবাসী আহত হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা হিজবুত তাওহীদের সদস্যদের অবস্থানরত নূরুল হক মেম্বারের বাড়ীর ৫টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ১১০জন হিজবুত তাওহীদের সদস্যকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা (সোয়া ৬টা) ওই এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।